কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে আজ ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মেসিরা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার দ্বিতীয়ার্ধে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও মেসির গোলে জয় নিশ্চিত হয়। ফ্রি কিক থেকে গোল এবং বাকি দুটো গোলের পাস বাড়িয়ে নায়ক সেই মেসি।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে ইকুয়েডরকে চাপে রাখে ১৪ বারের কোপা আমেরিকা চ্যম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। পরীক্ষা নিতে থাকেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক গালিন্দেজের। যদিও বেশিরভাগ শটই লক্ষ্য বরাবর ছিল না।
২ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার প্রথম আক্রমণ প্রতিহকৃত করেন গালিন্দেজ। ৫ মিনিটের মাথায় ইকুয়েডরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ডি পল, তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৪ মিনিটের মাথায় গোললাইন থেকে বল প্রতিহত করে দলের পতন রোধ করেন আরবোলেতা।
১৭ মিনিটে কর্ণার পায় আর্জেন্টিনা। কিক নেন মেসি। চমৎকার কিকে বল পান পেজেল্লা। বুক থেকে বল নামিয়ে ইকুয়েডরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিলেও তা টার্গেটে ছিল না। ২০ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইকুয়েডরের অ্যাঞ্জেলো প্রেসিয়াদো।
২২ মিনিটের মাথায় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন খোদ মেসি। ইকুয়েডরের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারলেন না মেসি। তার শট পোস্টে প্রতিহত হয়।
২৪ মিনিটের মাথায় অফসাইডের আওতায় পড়েন মেনা। ইকুয়েডরের আক্রমণ ভেস্তে যায়। ৩১ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখলেন ইকুয়েডরের ফ্র্যাঙ্কো।
অবশেষে উল্লাসে ভাসার উপলক্ষ পেল আলবিসেলেস্তেরা। ৪০ মিনিটের মাথায় মেসির পাস থেকে গোল করলেন ডি পল। ১-০ গোলে লিড নিল আর্জেন্টিনা। ৪৪ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন এসতাপিনান।
৪৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পান গঞ্জালেজ। কিন্তু মেসির মতোই ব্যর্থ হন তিনি।
রেফারি প্রথমার্ধে ৪ মিনিট সময় সংযোজন করেন। এই চার মিনিটে ইকুয়েডরের প্রাপ্তি একটি হলুদ কার্ড। যোগ করা শেষ মুহূর্তের আগে হলুদ কার্ড দেখেন ওতামেন্দি।
রেফারির বাঁশিতে বিরতিতে গেছে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে ইকুয়েডরের। একের পর কর্নার পায় তারা। আর্জেন্টিনার রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে। যদিও গোলের মুখ খুলতে পারেনি।
রবিবার সার্খিয়ো আগুয়েরো, অ্যাঞ্জেলো দি মারিয়া, অ্যাঞ্জেল কোরিয়াদের প্রথম একাদশে রাখেননি আর্জেন্টিনা প্রশিক্ষক লিয়োনেল স্কালোনি। ইকুয়েডরের আক্রমণ বাড়তে থাকলে ৭০ মিনিটের মাথায় দি মারিয়া এবং গুইডো রডরিগেজকে নামিয়ে মাঝ মাঠের দখল নিতে চায় আর্জেন্টিনা।
স্কালোনির সেই পরিকল্পনা কাজে লাগে। মেসি এবং দি মারিয়ার যুগল বন্দিতে আক্রমণের ঢেউ ওঠে ইকুয়েডরের বক্সে। বক্সের বাইরে থেকে মারা মেসির শট অল্পের জন্য বাইরে না গেলে ২-০ হয়ে যেত ৭৩ মিনিটের মাথায়।
ইকুয়েডরের রক্ষণের ভুলে ২-০ করে আর্জেন্টিনা। গোলরক্ষকের বাড়ানো বল তাঁকেই ফিরিয়ে দিতে গিয়েছিলেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। তাড়া করেন মেসি এবং দি মারিয়া। বলের দখল নেন মেসি। বল বাড়িয়ে দেন মার্টিনেজের উদ্দেশে। সেই বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আর্জেন্টিনা।
দি মারিয়া এবং মেসির জুটিকে আটকাতে তখন নাভিশ্বাস উঠছে ইকুয়েডর রক্ষণে। বক্সের মাথায় দি মারিয়াকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করেন হিনক্যাপি। লাল কার্ড দেখেন তিনি। ফ্রি কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: