বিশ্বের এক নম্বর দল বেলজিয়ামকে ইউরো থেকে বিদায় করে ২-১ গোলে জিতেছে ইতালি । গোল করেছেন মিডফিল্ডার নিকোলো বারেল্লা ও উইঙ্গার লরেঞ্জো ইনসিনিয়া। ওদিকে বেলজিয়ামের হয়ে একমাত্র গোলটা লুকাকুর। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে দারুণ দুটি গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ইতালি বিরতির আগে ছোট্ট একটা ভুল করে বসল। ব্যবধান কমিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জাগাল বেলজিয়াম। তবে অদম্য ইতালিয়ানদের প্রতিরোধ আর ভাঙতে পারল না তারা। রোমেলু লুকাকু-কেভিন ডে ব্রুইনেদের স্বপ্ন ভেঙে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে পা রাখল রবের্তো মানচিনির দল।
প্রথম থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ভরপুর ছিল ম্যাচটা। উইঙ্গার দমেনিকো বেরার্দির জায়গায় গত ম্যাচের নায়ক ফেদেরিকো কিয়েসাকে প্রথম থেকেই নামানো হয়েছিল। চোট থেকে ফিরে সরাসরি মূল একাদশে ঢুকে গিয়েছিলেন অধিনায়ক জর্জো কিয়েল্লিনি। ওদিকে চোটের কারণে এদেন হ্যাজার্ডকে নামায়নি বেলজিয়াম, তাঁর জায়গায় তরুণ জেরেমি দোকুকে নামানো হয়েছিল।
শুরুতেই লিওনার্দো বোনুচ্চির গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। কিন্তু ভিএআরের বদান্যতায় বেঁচে যায় বেলজিয়ানরা। তখন এগিয়ে যেতে না পারলেও গোটা ম্যাচে কী হতে পারে সে ধারণাটা দিয়ে দিয়েছিল ইতালি।
বেলজিয়ামের মাঝমাঠকে সহজেই প্রেস করে আক্রমণভাগ পর্যন্ত এগিয়ে যাচ্ছিল ইতালি। সেটার সুফলও পেয়ে যায় হাতেনাতে। নিকোলো বারেল্লার গোলে ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইতালি। দুর্দান্ত ড্রিবল ও ডান পায়ের মাপা শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। তবে জটলা থেকে তাঁকে চার্জ করার জন্য কোনো বেলজিয়াম তারকা গেলেন না কেন, প্রশ্ন উঠতেই পারে।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে লরেঞ্জো ইনসিনিয়ার দৃষ্টিনন্দন এক গোলে আরও এগিয়ে যায় ইতালি। বেলজিয়ামের মাঝমাঠ আর রক্ষণ তখন ছন্নছাড়া। কে বলবে? ডি ব্রুইনারা ফিয়া তালিকার এক নম্বর দল যে?
শেষমেশ দলকে বাঁচেত এগিয়ে এলেন হ্যাজার্ডের জায়গায় মাঠে নামা দোকু। বাঁ প্রান্ত থেকে বিপজ্জনকভাবে ডিবক্সে ঢুকতে চাইলে অন্যায়ভাবে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে, পেনাল্টি পায় বেলজিয়াম। পেনাল্টি থেকে বারেল্লার ক্লাব-সতীর্থ রোমেলু লুকাকু গোল করে ব্যবধান কমান।
সে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল। বেশ হাই-স্কোরিং একটা ম্যাচ দেখতে যাচ্ছে ইউরো। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হতে দেয়নি বোনুচ্চি-কিয়েল্লিনির অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান রক্ষণভাগ। ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইতালি।
বাছাইসহ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এই নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচ জিতল ইতালি, প্রতিযোগিতার ইতিহাসে যা নতুন রেকর্ড। এই হারের আগে টানা ১৪ ম্যাচ জিতেছিল বেলজিয়াম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: