শত বছর বয়সে মারা গেছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তাকে “অসাধারণ নেতা” আখ্যায়িত করে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত কয়েক বছর ধরে তিনি ত্বকের ক্যানসার মেলানোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। জিমি কার্টারই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি তার শততম জন্মদিন উদযাপন করেন।
প্রথম জীবনে জিমি কার্টার ছিলেন একজন চীনাবাদাম বিক্রেতা। তিনি তার বাড়িতে চীনাবাদামের চাষ করতেন। পরবর্তী জীবনে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট হন।
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর জর্জিয়ার স্থানীয় এবং একজন ডেমোক্র্যাট হিসেবে ১৯৭৬ সালে রিপাবলিকান জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জিমি কার্টার।
ডেমোক্র্যাট দল থেকে নির্বাচিত জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটের মধ্যেই তাকে কাজ করতে হয়েছিল।
১৯৮০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়েন কার্টার। জনপ্রিয়তা হারিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের সুনাম পান জিমি কার্টার।
আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে নিরলস প্রচেষ্টা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিসাধন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৯৪৬ সালে রোসালিন স্মিথকে বিয়ে করেন জিমি কার্টার। এই দম্পতির চার সন্তান। রোসালিনের সঙ্গে জিমি কার্টারের দাম্পত্য জীবন ছিল দীর্ঘ ৭৭ বছরের। গত বছরের নভেম্বরে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রোসালিন। স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল অসুস্থ কার্টারকে। তাদের সংসারে ৪ সন্তান, ১১ নাতি-নাতনি এবং ১৪ জন প্রপৌত্র ও প্রপৌত্রী রয়েছে। ২০১৫ সালে তাঁদের এক নাতির মৃত্যু হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: