জার্মানিকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল ইংল্যান্ড। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শেষ ষোলোর ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড।
রাউন্ড অফ সিক্সটিনের সব চেয়ে মুখরোচক ম্যাচ। শেষ ষোলর লাইনআপ ঠিক হওয়ার পরই স্পটলাইট সবচেয়ে বেশি কেড়েছে ইংল্যান্ড-জার্মানি ম্যাচটি। নকআউট বলেই কি না ফার্স্ট হাফে দুই দলই সাবধানী। ক্লিয়ার কাট সুযোগ নাই বললেই চলে। তারপরও প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে ভাগ্যগুনেই নয়্যারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন কেইন। তবে, বল কন্ট্রোল করতেই ব্যর্থ ইংলিশ ক্যাপ্টেন।
বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে থাকে গতি। শুরুতেই ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন কাই হাভার্টজ। বুলেট গতির কিক কোনরকমে বাইরে ঠেলেছেন জর্ডান পিকফোর্ড। সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণে উঠেছে দুই দল। ঘরের মাঠে পরিচিত কন্ডিশন সাথে দর্শকদের উৎসাহ। দু’য়ের সমন্বয়েই যেন ইংল্যান্ডের বাজিমাত।
ছোট পাসে আক্রমণে উঠে কেইন-লুক শ’র কম্বিনেশন। টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের তিন নম্বর গোল। যার তিনটিই স্টার্লিংয়ের।
৭৫ মিনিটে প্রথম গোল খাওয়ার পরপরই সমতা ফেরানোর মোক্ষম সুযোগ পায় জার্মানি। পিকফোর্ডকে একা পেয়েও বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ থমাস মুলার।
শেষ দশ মিনিটে মরিয়া জার্মানদের অল-আউট অ্যাটাক। ওই সুযোগে কাউন্টারে ইংল্যান্ডের ফিনিশিং টাচ। প্রথম গোলের মতোই দ্বিতীয় গোলের উৎসও লেফট উইং। এবার সাজিয়েছিলেন গ্রিয়েলিশ নিশানায় হ্যারি কেইন। ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বিদের ২-০ গোল ব্যবধানে বিদায় দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: