বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাশাপাশি গঠন করা হবে বাংলাদেশ টাইগারস নামে আরেকটি দল। যে দলে থাকবেন জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া ক্রিকেটাররা। দল থেকে বাদ পড়ে তারা যেন নজরসীমার বাইরে চলে না যান, সেজন্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।
মঙ্গলবার বোর্ডসভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। দলটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুই বোর্ড পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ এবং খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
জাতীয় দলে সুযোগ পান ১১জন ক্রিকেটার। স্কোয়াডে থাকেন আরো ৫-৬ জন। কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও থাকেন ১৭-১৮ জন। ফর্ম কিংবা ইনজুরির কারণে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়ে অনেকেই চলে যান অন্তরালে। নষ্ট হয় অনেক প্রতিভাও। কেউ কেউ খেই হারিয়ে ফেলেন। শফিউল ইসলাম, সাব্বির রহমানরা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
আবার ইমরুল কায়েসদের মতো অনেকেই জাতীয় দলে ফেরার লড়াই চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু দলের বাইরে থাকায় তারা পান না প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ সহ অনেক সুবিধাই। তাদের কথা বিবেচনা করেই বাংলাদেশ টাইগারস গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।
এ বিষয়ে দলটির দায়িত্ব পাওয়া কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, বোর্ড প্রেসিডেন্টসহ অনেকেই চাচ্ছিলেন এমন একটি দল গঠন করতে। যারা জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন তারা যেন সবসময় প্র্যাকটিসের মধ্যে থাকেন, নার্সিং পান। অফফর্ম ছাড়াও অনেকে ইনজুরড হয়েও বাদ পড়তে পারেন। আমরা তাদেরকে টেক কেয়ার করতে চাই। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তো আছেনই, যারা ঘরোয়া আসরগুলোতে নিয়মিত পারফর্ম করছেন তাদের জন্যও বাংলাদেশ টাইগারসের দরজা খোলা থাকবে।
কাজী ইনাম বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা রেগুলারলি ভালো করছে, তাদেরকে আমরা সুযোগ দিতে চাই। অনেকসময় তারা হয়তো পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা পায়না। আপনারা তো জানেন, আমাদের ফ্যাসিলিটির সীমাবদ্ধতা আছে। যারা জাতীয় দলের বাইরে চলে যায় তাদেরকে আমরা ফ্যাসিলিটির নিশ্চয়তা দিতে চাই। আমাদের কিন্তু ঢাকার বাইরেও প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ আছে। সেখানে আমরা তাদের জন্য ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। কেবল দেশেই নয়, তাদেরকে বিভিন্ন দেশে সফরে পাঠিয়ে প্রস্তুত রাখা হবে জাতীয় দলের জন্য।
বিসিবির এই পরিচালক বলেন, এই প্রোগ্র্যামটা সারাবছরই চলবে। আমরা হয়তো তাদেরকে দেশের বাইরেও পাঠাতে পারি। তাদের জন্য ভালো মানের মেডিকেল টিম গঠন করা হবে, যাতে কেউ ইনজুরিতে পড়ে জাতীয় দলের বাইরে চলে গেলেও পূর্ণ চিকিৎসা পেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির তিন ফরম্যাটের তিন ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা খুবই আগ্রহী। পুরো বিষয়টা সম্পর্কে তারা অবগত।
শীঘ্রই বাংলাদেশ টাইগারস গঠনের কাজ শুরু হবে বলেও জানান কাজী ইনাম আহমেদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: