ঠিক বার্সেলোনার পুরোনো সেই দিনে যেন ফিরে গেলেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ। গোল পেতে আগের ম্যাচগুলোতে কিছুটা সংগ্রাম করতে হলেও, এই ম্যাচে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন উরুগুইয়ান তারকা। আর্জেন্টাইন বন্ধুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় জয় এনে দিয়েছেন ইন্টার মায়ামিকে। মেসি-সুয়ারেজ দুজনেই জোড়া গোল করে পেয়েছেন। ফলে অরল্যান্ডো সিটি ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়ে গেছে।
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) আগের মৌসুম টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ করেছে ফ্লোরিডার ক্লাব মায়ামি। শেষদিকে ক্লাবটিতে যোগ দিলেও, কয়েক ম্যাচে খেলতে পারেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ফলে ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবটিও নেতিবাচক ফল পেয়েছে। তবে এবার শুরু থেকেই তারা পাচ্ছে মেসি-সুয়ারেজ জুটির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তিন ম্যাচ শেষে মায়ামি টেবিলের শীর্ষে রয়েছে।
মেসি-সুয়ারেজ দুজনেই জোড়া গোল করে পেলেও, পাঁচটি গোলেই অবদান ছিল তাদের। মায়ামির হয়ে অন্য গোলটি করেছেন রবার্ট টেলর। তবে মায়ামি-অরল্যান্ডো ডার্বিতে সমান লড়াই করেছে দু’দলই। বরং বল দখলে এগিয়ে ছিল মায়ামির প্রতিপক্ষরা। তবে গোলের লক্ষ্যে তারা মায়ামির অর্ধেক শট রাখতে পেরেছে। মেসি-সুয়ারেজরা ১১ শটের ৬টি লক্ষ্যে এবং অরল্যান্ডোর ৯ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৩টি।
এদিন ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন সুয়ারেজ। ডান প্রান্ত থেকে জুলিয়ান গ্রেসেলের বাড়ানো বল দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে জালে জড়ান এ স্ট্রাইকার। যা উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডের প্রথম এমএলএস গোল। মায়ামির লিড দ্বিগুণ করতেও তিনি বেশি সময় নেননি। একাদশ মিনিটেই বক্সের বেশ বাইরে থেকে আক্রমণ বানিয়ে ফিনিশিংটাও করেছেন সুয়ারেজ। এরপর আবার তার সহায়তায় টেলরের গোলে বিরতির আগে স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৩–০ তে।
বিরতির পর আরও দুই গোল পায় বেকহ্যামের ক্লাবটি। সবমিলিয়ে টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা বড় জয় এনে দিয়েছে মেন ইন পিঙ্কদের। ৫৭ ও ৬২ মিনিটে গোল করেন মেসি। প্রথমটি মেসি বুক দিয়ে বল নামিয়ে আলতো করে জালে পাঠিয়ে দেন। দ্বিতীয় গোলটি তিনি করেন সুয়ারেজের অ্যাসিস্টে। উরুগুইয়ান তারকা একদম ফাঁকায় থাকা মেসিকে বল দিলে তিনি হেড দিয়ে ডানপাশ দিয়ে জাল কাঁপিয়ে ফেরেন। ফলে বড় জয় নিশ্চিত হয় মায়ামির।
এই জয়ে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে ওঠে গেল ইন্টার মায়ামি। যেখানে তাদের দুই জয় এবং একটি ড্র রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: