কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়ের জন্য শেষ ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। হাসান মাহমুদের করা ১৭তম ওভারে তিন চার আর দুই ছয়ে ২৫ রান তোলে সমীকরণ সহজ করেন আন্দ্রে রাসেল। পরের ওভারে শেখ মেহেদিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ১৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন এই ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার। ৬ উইকেটের জয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করল কুমিল্লা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৯ রান করেছেন নিশাম। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় কুমিল্লা। ১১ বলে ১৫ রান করে সুনীল নারিন সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে তিনে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। ইনফর্ম এই টপ অর্ডার ব্যাটার সিলভার ডাক খেয়েছেন।
৩৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৪৩ রান করে লিটন ফিরলে ভাঙে ৬৫ রানের জুটি। আর অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৩৯ রান। আর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে অপরাজিত ৪৩ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ রংপুরের দুই ওপেনার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেছেন কিং। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ৪ রান। আরেক ওপেনার রনি করেছেন ৮ বলে ১৪ রান। তিনে নেমে সাকিব আল হাসান দলের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি।
এদিকে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদি হাসান। ফলে ৬৮ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারায় রংপুর। এরপর দলের হাল ধরেন জিমি নিশাম। এই কিউই এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করলেও আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দল।
নিশামকে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। তারপরও নিজের ফিফটি তুলে নেন এই কিউই। তার অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে কোনো রকমে দেড়শ ছুঁয়েছে সোহানের দল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: