কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শক্তি বাড়াতে যোগ দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইন। বলে-ব্যাটে মন্দ করেননি তারা। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেছেন লিটন দাসও। তবে কিছুতেই কাজ হলো না। নিজেদের জন্য গুরুত্বহীন ম্যাচে কুমিল্লাকে ১২ রানে হারিয়েছে বেনি হাওয়েলের সিলেট স্ট্রাইকার্স।
প্রথমে ব্যাট করে বেনি হাওয়েলের ঝোড়ো ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে সিলেট। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে কুমিল্লা। সুযোগ ছিল, এই ম্যাচে জয় তুলে শীর্ষস্থানে থাকা রংপুর রাইডার্সকে পেছনে ফেলার। তবে সেটি আর হলো না।
১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কুমিল্লার শুরুটা ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৯ রান তুলে দলটি হারায় ইমরুল কায়েস ও তাওহীদ হৃদয়ের উইকেট। তবে তৃতীয় উইকেটে জনসন চার্লসকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন ওপেনার লিটন। ৭৯ রানের জুটিতে লুইসের অবদান ছিল মাত্র ১২ রান। ২১টি বল খেলে এই রান করে দলকে তিনি বেশ পিছিয়েই দিয়েছেন। চূড়ান্ত ব্যর্থ পাঁচে নামা ব্যাটার মঈন আলীও। ৫টি বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান তিনি।
তবে ব্যাট হাতে আরেক পাশে রানের চাকা সচল রাখছিলেন লিটন। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আন্দ্রে রাসেল যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন ২০ বলে দরকার ছিল ৫১ রান। এই দুজন ছিলেন বলে কুমিল্লা সমর্থকদের মনেও আশা ছিল। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান। তবে প্রথম বলেই লিটনকে বোল্ড করে কুমিল্লার আশায় জল ঢালেন তানজিম হাসান সাকিব। ৫৮ বলে ৮৫ রান আসে লিটনের ব্যাটে। ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
শেষ পর্যন্ত ওই ওভার থেকে ১২ রানের বেশি করতে পারেনি কুমিল্লা। হার দেখতে হয় ১২ রানের। রাসেল ১৪ বলে ২৩ রান করে তানজিমের শেষ বলে আউট হন।
সিলেটের হয়ে বল হাতে আগুন ঝড়ান পেসার শফিকুল ইসলাম ও সামিত প্যাটেল। দুজনে ১টি করে উইকেট নিলেও ৪ ওভারে তারা রান দেন যথাক্রমে ১৮ ও ১৫। ৩ উইকেট নেওয়া তানজিম ৩ ওভারে দেন ৩ উইকেট।
এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী জুটিতেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় সিলেট। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪০ রানের মাথায় বিদায় নেন জাকির হাসান (১৮)। তবে আরেক ওপেনার কেন্নার লুইস ভালোই আগাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে। ৬৭ রানের মাথায় শুরু হয় মড়ক। এই রানে লুইসের ফেরার পর ৭৪ রান তুলতেই ফেরেন শান্ত ও ইয়াসির আলী।
এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। ৪২ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন ও বেনি হাওয়েল। দলীয় ১৮তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ২৮ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মিথুন। মিথুন রয়েসয়ে খেললেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন হাওয়েল। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত এই ঝড় অব্যাহত রাখেন তিনি। তাতে দল গিয়ে থামে ১৭৭ রানে। ব্যক্তিগত ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন হাওয়েল। ৩১ বলের এই ইনিংস তিনি সাজান ৬টি চার ও ৪ ছক্কায়।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল নারাইন। ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২ উইকেট নিলেও ৩ ওভারে ৩৭ রান দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসাইন। একটি উইকেট মুশফিক হাসানের।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: