হেভিওয়েট দুই দলের লড়াইটা শেষপর্যন্ত হল একপেশে। সিলেটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৮ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। দারুণ জয়ে কুমিল্লাকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে গেল সাকিব-সোহানদের রংপুর।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ফিফটি পেলেও শেষের তিন ওভারে দলটির প্রয়োজন পড়ে ৫০ রান। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায় কুমিল্লা ১৪ রানের ওভার পেলেও পরের ওভারে একদমই খাপছাড়া ছিল। তাতে সাকিব আল হাসানের শেষ ওভার থেকে কুমিল্লার প্রয়োজন হয় ২৯ রান।
বাঁহাতি স্পিনার প্রথম ডেলিভারিটি ওয়াইড করেন। পরের বলে রান আউট হন হৃদয়। ২৮ বলে ৩৯ রান করে যান একটি ছয় ও তিনটি চারে। পরের ডেলিভারিতে ম্যাচে প্রথম উইকেট শিকার করেন সাকিব। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার আমের জামালকে ফেরান বাবর আজমের ক্যাচ বানিয়ে।
চার বলে তখন ২৭ রানের অসম্ভব সমীকরণ। দুটি ছয়, একটি চার ও একটি ডাবলসে ১৮ রান তুলে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ভরা গ্যালারিতে কিছুটা আনন্দ যোগাতে পেরেছেন জাকের আলী অনিক। তাতে কমে আসে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হারের ব্যবধান।
১৪.২ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলেছিল কুমিল্লা। হাসান মাহমুদের বলে মাহিদুল ৬৩ রানে উইকেট দেয়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লিটন দাসের দল। অঙ্কন ৫৫ বলে তিনটি ছয়, চারটি চারে ষাটোর্ধ্ব ইনিংস খেলে ফেরেন।
শেষ ওভারে উইকেট পাওয়া সাকিব ৪ ওভারে দেন ৪১ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৪ ওভারে ৩১ রানে নেন দুটি উইকেট।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুপুরের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বাবর আজমের ৩৭, ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৩০ ও আজমতউল্লাহর ২০ বলে ৩৬ রানের ক্যামিওতে কুড়ি ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাইডার্স।
রেমন রেইফার ৩ ওভারে ২০ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট। খুশদিল শাহ ৪ ওভারে ২৫ রানে, তানভির ইসলাম ৩ ওভারে ১৯ রানে ও মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট। নিজের করা শেষ ২ ওভারে ৩৯ রান দেন ফিজ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: