বিপিএলের দশম আসরটা হার দিয়ে শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিল বিপিএলের সবচেয়ে সফল দলটি। এই ম্যাচে হড্ডাহাড্ডি লড়াই করে বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় পেয়েছে কুমিল্লা। এতে টানা দুই ম্যাচ হারল ফরচুন বরিশাল।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন-হৃদয়দের ১৬২ রানের লক্ষ্য দেয় তামিম-রিয়াদরা। জবাব দিতে নেমে ১ বল ও চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
জবাবে দিতে নেমে ভালো শুরু করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন কুমার দাস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি রিজওয়ান। ১৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। পরের বলেই ওয়েল্লালাগেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তাওহীদ হৃদয়।
এতে দলীয় ২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এরপর ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন লিটন। তবে ১৯ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলে এগিয়ে নেওয়া চেষ্টা করতে থাকেন ইমরুল। ৩৯ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ১৭তম ওভারে আব্বাস আফ্রিদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ইমরুল কায়েস। ৪১ বলে ৫২ রান করেন তিনি।
এর পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে কুমিলার জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে জাকের আলী। শেষ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে রান আউট হন খুশদিল শাহ। ৭ বলে ১৪ রান করেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।
১৯তম ওভারে তৃতীয় বলে ওভার বাউন্ডারি ও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে কুমিল্লাকে জয় এনে দেন ক্যারিবীয় ব্যাটার ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ২০ বলে ২৩ রান এবং ওয়াল্টার ফোর্ডের ৪ বলে ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১ বল ও চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে। এ ছাড়াও আব্বাস আফ্রিদি ও খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: