নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৯

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হয়েছে ম্যাচ। তখনো বেশিরভাগ মানুষ গভীর ঘুমে। তবে নির্ঘুম ক্রিকেটপ্রেমীরা জেগে রয়েছেন সেই অধরা জয় চেয়ে দেখতে। তাদের এবার নিরাশ করলেন না শান্ত-সৌম্যরা। সিরিজে শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও কিউইদের নিয়ে রীতিমত ছিনিমিনি খেলল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের স্রেফ ৯৮ রানে আটকে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল তুল্যে নিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিউইদের মাঠে একদিনের ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়।

১৭ ম্যাচ পরে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত জয়। কিউইদের মাঠে এর আগে ১৮ ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ১৯তম ম্যাচে এসে কাটল সেই জুজু। ইতিহাস গড়া জয়, তাও আবার ৯ উইকেটের। জয়ের এর থেকে ভালো শুরু হয়তো আর হতো না শান্ত-মিরাজদের।

নেপিয়ারে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে পেসারদের তোপে ৩১ ওভার ৪ বলে স্রেফ ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ সাবধানী অবস্থানে থেকে এগোতে থাকেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। তবে দলীয় ১৭ রানের মাথায় আউট না হয়েও সাজঘরে ফিরতে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সৌম্যকে। চোখে সমস্যা দেখায় মাঠ ছাড়েন সৌম্য।

এরপর আরেক ওপেনার বিজয়কে নিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুল্যে জয়ের দিকে এগোতে থাকেন শান্ত। দলীয় ৮৪ রানে বিজয় ফিরলে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি। ৩৩ বলে ৭ চারের মারে ৩৭ রান করে ফেরেন বিজয়। তবে তাণ্ডব জারি রাখেন শান্ত। ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান ১৫ ওভার ১ বলে। ৪২ বলে ৮ চারের মারে ৫১ রানে অপরাজিত থেকে কিউইদের মাঠে ঐতিহাসিক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক শান্ত।

এর আগে ব্যাট করতে নামা কিউইদের শুরু থেকেই চাপে রাখে পেসাররা। দলীয় ১৬ রানের মাথায় রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান দুই ম্যাচ পর একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম। দলীয় ২২ রানের মাথায় কিউই শিবিরে ফের তানজিমের আঘাত। এবার ফেরেন হেনরি নিকলস (১)।

অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নিয়ে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন সিরিজজুড়ে ছন্দে থাকা ওপেনার উইল ইয়ং। তবে তাদের বেশিক্ষণ থিতু হতে দিল না সফরকারীরা। পেস তাণ্ডবে এবার দায়িত্ব শরিফুলের। ১৭তম ওভারে বোল্ড করে ফেরান ল্যাথামকে (২১)। এবং নিজের পরের ওভারেই তুলে নেন ইয়ংয়ের (২৬) উইকেট।

সেখান থেকে কেবল ৩৭ রান যোগ করতেই বাকি চয় ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে। কেবল ৯৮ রানেই থামে কিউইদের ইনিংস। এতেই লজ্জার রেকর্ডে ডুবেছে তারা। একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

দশটি উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। সৌম্য সরকার, তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম, তিনজনই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট এবং মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন একটি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: