যুব এশিয়া কাপ: ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১৩

যুব এশিয়া কাপ: ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

যুব ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ২৫ বারের দেখায় ২০ হারের বিপরীতে মাত্র ৪টি জয় ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। যার সবশেষটি এক আসর আগে পচেফস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে। এবার দুবাইতে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে আরও একবার ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারালো বাংলার যুবারা। ৪ উইকেটের এই জয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। ভারতের দেয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ৪২.৫ ওভার।

আর এ জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান আরিফুল ইসলামের। ৯০ বলে ৯৪ রানের স্মরণীয় ইনিংস উপহার দেন তিনি। ৯টি চার ও ৪ ছক্কায় মোড়ানো ইনিংসটি অনায়াসে সেঞ্চুরিতে রূপ নিতে পারত। আগ্রাসী মেজাজে উড়িয়ে খেলতে গিয়ে আরিফ যদি ক্যাচ না দিয়ে বসতেন। আরিফ যখন মারকুটে মেজাজে ছিলেন যুব দলের সাবেক অধিনায়ক আহরার আমিন অন্যপ্রান্তে ইনিংস ধরে রাখার দায়িত্ব সামলান সুচারুরূপে। তার ১০০ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে ফিফটি পূরণের আক্ষেপ ছাপিয়ে জয়ের আনন্দই বেশি।

বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন জিশান। এর পর ৬ষ্ঠ ওভারে ১৩ রান করে আউট হন চৌধুরী রিজওয়ান। আর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আশিকুর রহমান শিবলী মাত্র ৭ রান করেই রানআউটে কাটা পড়েন দশম ওভারে। আরিফ-আহরারের জুটি ভাঙার পর জয় থেকে ৫ রান দূরে থাকতে উইকেট দিয়ে বসেন শিহাব জেমস। তিনি করেন ৯ রান। ২ রান দূরে থাকতে আহরার আউট হন দূর্ভাগ্যজনকভাবে। বাকি পথ জীবনকে নিয়ে পাড়ি দেন অধিনায়ক রাব্বি। ভারতের নামান তিওয়ারি ৩টি ও রাজ লিম্বানি ২টি উইকেট পান।

এর আগে ভারতকে অল্পতে আটকে রাখার পথে ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মারুফ। দুটি করে প্রাপ্তি বর্ষণ ও জীবনের।

৬১ রানে ৬ উইকেট হারানো ভারত দেড়শ পার করে মুশির আহমেদ ও মুরুগান অভিষেকের ব্যাটে। দুইজনেই করেন ফিফটি। সপ্তম উইকেটে ১০৮ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩ চারে ৫০ রান করেন মুশির। ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬২ রান আসে মুরুগানের ব্যাট থেকে। আদর্শ সিংকে এলবিডব্লিউ করে উইকেট শিকার শুরু করেন মারুফ। নিজের পরের ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন আরশিন আতুল কুলকার্নি। পাওয়ার প্লেতে তার আরেক শিকার ভারত অধিনায়ক উদয় শাহারান।

শাচিন দাসকে ফেরানোর পর প্রিয়াংশু মলিয়ার সাজঘরে পাঠান বর্ষণ। ওই ওভারেই আরভেলি আভানিশ হন রান আউট। চরম বিপর্যয়ে পড়া ভারতকে টানেন মুশির ও মুরুগান। মুশিরকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। শেষ দিকে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে গুটিয়ে দেন জীবন।

অন্য সেমিফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক আমিরাত। গ্রুপপর্বের ম্যাচে তাদের ৬১ রানে হারিয়েছিল রাব্বিরা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর যুব ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে আমিরাত ও বাংলাদেশ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর