মাঠের সময়টা ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিল ফুটবল দলের। একের পর এক পরাজয়ে কোণঠাসা হয়ে আছে দলটি। এর মধ্যে শঙ্কা জেগেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে আরও বড় সমস্যার মুখে পড়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন।
সমস্যটা এতটাই প্রকট, যে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে ব্রাজিলের ফুটবল! এরইমাঝে ফিফার পক্ষ থেকে ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনে তেমন পত্রও চলে গিয়েছে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন সভাপতিকে বরখাস্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে এমন জটিল অবস্থা।
জানা গেছে বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের অভিযোগে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্টে এডনালদো রদ্রিগেজকে ছাঁটাই করেছে রিও ডি জেনেরোর আদালত। এতেই শুরু হয় বিপত্তি ।
বৃহস্পতিবার এডনালদোকে পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোর স্টেট কোর্ট। এরপরই সিবিএফের নিকট ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রোজেরিও ক্যাবোকলো যৌন কেলেঙ্কারির কারণে নিষেধাজ্ঞায় পড়লে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্রাজিল ফুটবলের দায়িত্ব নেন এডনালদো। পরবর্তীতে নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্ট পদে বহাল হন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদ আছে।
কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার একছরের মধ্যেই এবার শঙ্কায় আছে তার পদ। সিবিএফের কিছু নির্বাহী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন। ব্যাপারটা চলে যায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনেরোর কোর্ট থেকে আসে নির্দেশনা।
যেখানে বলা হয়, এডনালদোকে তার পদ থেকে ছাঁটাই করে ৩০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। এ সময়ে সিবিএফের দায়িত্বপালন করবেন দেশটির ক্রীড়া আদালতের প্রধান জোসে পারদিজ। তার অধীনেই হবে নতুন নির্বাচন।
তবে এডনালদোকে ছাঁটাই করা হলে বড় রকমের সমস্যায় পড়বে সিবিএফ। ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় কোন পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে সদস্য দেশগুলোকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এশিয়ান দেশ পাকিস্তানেও এসেছিল এমন নিষেধাজ্ঞা। যা কার্যকর হতে পারে ব্রাজিলের বিপক্ষেও।
এরইমাঝে সিবিএফের সাধারণ সম্পাদক রেইস রোচার কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ফিফা। সতর্ক করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, স্বাধীনভাবে কাজ করার পথে যদি তৃতীয় কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করে তাহলে ফিফার আইনানুযায়ী নিষেধাজ্ঞায় পড়বে সিবিএফ। তাতে আন্তর্জাতিক কোনো খেলায় বা ইভেন্টে অংশ নিতে বাধার সম্মুখীন হবে ব্রাজিলের ফুটবলার, ম্যাচ রেফারি ও অফিশিয়ালরা।
এছাড়া এডনালদো বরখাস্ত হলে কার্লো অ্যানচেলত্তির ব্রাজিলের কোচ হওয়ার প্রক্রিয়াতেও ধাক্কা আসতে পারে। কারণ এডনালদো রদ্রিগেজই মূলত এই ইতালিয়ানকে ব্রাজিলে নিয়ে আসার ব্যাপারে প্রচণ্ড আগ্রহী। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের ভাগ্যে কী আছে, তা নিয়েও আছে সংশয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: