ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মতো তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়ে নিজেদের শক্তির প্রমাণ আগেই দিয়েছে আফগানিস্তান। শুক্রবার রাতে তুলনামূলক কম শক্তির দল নেদারল্যান্ডসকে তো রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল। ডাচদের করা ১৭৯ রান অতিক্রম করেছে ১১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই।
এই জয়ে, দশ দলের বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে উঠে আসল আফগানিস্তান। ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ৩ হারে ৮ পয়েন্ট তাদের। পেছনে ফেলল একই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তানকে। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে নিউজিল্যান্ড, রান রেটের কারণে এগিয়ে তারা।
১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানকে হারায় আফগানিস্তান। এরপর ৭৪ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ ও অধিনায়ক শাহিদি। ১২৯ রানের মাথায় হাফ সেঞ্চুরি করে ফেরেন রহমত। তবে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক শাহিদি। ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আরেক পাশে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন আজমাতুল্লাহ ওমারজাই।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে একের পর এক রান আউটে কাটা পড়ে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। প্রথম ৫ ব্যাটারের চারজনকেই করেছে রানআউট। তাতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা ডাচরা ১৭৯ রানের বেশি করতে পারেনি। ইনিংসের শুরুতেই মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে কাটা পড়েন ডাচ ওপেনার ওয়েসলি বারেসি। এরপর ৭০ রানের জুটি গড়েন ম্যাক্স ও’ডাউড ও কলিন আকারম্যান। ৭৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪২ রান করে রান আউট হয়ে ও’ডাউড ফিরলে ভাঙে জুটি। ৯২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৯ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন আকারম্যান। চূড়ান্ত বিপর্যয় শুরু হয় এরপরই।
১০০ রান তোলার আগেই বিদায় নেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ও বাস ডি লিড। এর মধ্যে এডওয়ার্ডসও রান আউটের ফাঁদে পড়েন। ১১৩ রানের মাথায় ফেরেন সাতে নামা সাকিব জুলফিকার। এরপর জুটি বাঁধেন চারে নামা সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও লোগান ভ্যান বিক। ১৩৪ রানে ভ্যান বিক নবীর বলে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে পড়ে ছিলেন সাইব্রান্ড। শেষ পর্যন্ত ১৫২ রানের মাথায় সেই রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন তিনি। তবে যাওয়ার আগে ৮৬ বলে ৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে যান সাইব্রান্ড।
শেষদিকে মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন ডাচ ব্যাটাররা। ১৫২ রানে অষ্টম উইকেট হারানো দলটি নবম উইকেট হারায় ১৬৯ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের ২১ বল বাকি থাকতেই ১৭৯ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: