মিড অফে বিক্রমজিতের ক্যাচ ধরেন সাকিব আল হাসান।পরের ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। স্লিপে দাঁড়িয়ে ম্যাক ও’দাউদের (০) ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ডাচরা।
এরপর ওয়েসলি বেরেসি আর কলিন অ্যাকারম্যান গড়েন ৫৯ রানের জুটি। বেরেসিই ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ৪১ বলে ৪১ করা এই ব্যাটারকে সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোস্তাফিজ। পরের ওভারে ধীরগতির অ্যাকারম্যানকে (৩৩ বলে ১৫) ফেরান সাকিব।
বেস ডি লিডি সেট হয়ে গিয়েছিলেন। ২৫.২ ওভারে দলীয় রান ১০০ পার করে নেদারল্যান্ডস। ডি লিডিকে (৩২ বলে ১৬) উইকেটরক্ষক মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ডাচদের চাপে ফেলেন তাসকিন আহমেদ। আম্পায়ার অবশ্য শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ডি লিডির গ্লাভসে হালকা স্পর্শ করে গেছে মুশফিকের হাতে। ১০৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।
কিন্তু অ্যাডওয়ার্ডসকে ১৬তম ওভারে জোড়া জীবন দেওয়াই বিপদ ডেকে এনেছে। দেখেশুনে খেলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ডাচ দলপতি। ষষ্ঠ উইকেটে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটে নিয়ে ১০৫ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।
অবশেষে ৪৫তম ওভারে এই জুটিটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। দুই জীবন পাওয়া অ্যাডওয়ার্ডস ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। ৮৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান আসে ডাচ অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার সাইব্র্যান্ডকে (৬১ বলে ৩৫) এলবিডব্লিউ করেন শেখ মেহেদি। তবে লগান ফন বিক শেষ ওভারে এসে টাইগার অফস্পিনারের ওপর চড়াও হন। তুলে নেন ১৭ রান।
প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি আর চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চম বলে সিঙ্গেলস নিয়ে ফন বিক দেন পল ফন ম্যাকেরেনকে। ম্যাকেরেন মেহেদির বলে এলবিডব্লিউ হলে ২২৯ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদি আর মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিব আল হাসানের শিকার এক উইকেট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: