হেনরিখ ক্লাসেনের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ও মার্কো জানসেনের ঝড়ো ব্যাটের পর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চলমান বিশ্বকাপের মুখোমুখি সাক্ষাতে ইংলিশদের ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল প্রোটিয়ারা।
এই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছিল। তবে তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে অঘটনের শিকার হয়। তবে এক ম্যাচ পরেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দলটি। অন্যদিকে ইংল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়। তবে এবার লজ্জার পরাজয় বরণ করল।
আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে উড়ে যায় ইংল্যান্ড। ২২ ওভারে ১৭০ রানে থামে তাদের ইনিংস।
৪০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেসামাল হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। প্রোটিয়া পেসারদের তোপে আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত থাকে দলটি ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বরে নামা মার্ক উড ও ৯ নম্বরে নামা গাস অ্যাটকিনসনের ব্যাট থেকে। উড ১৭ বলে ৫টি ছক্কায় ৪৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজত থাকেন। আর কেশভ মাহারাজের বলে আউট হওয়া অ্যাটকিনসন ২১ বলে ৩৫ রান করেন। তবে জস বাটলার, বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালানদের মতো তারকারা চরমভাবে ব্যর্থ হন। ইনজুরিতে পড়া রিস টপলি ব্যাটিংয়ে নামেননি।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান জেরাল্ড কোয়েটজ, এছড়া লুঙ্গি এনগিডি ও মার্কো জানসেন একটি করে উইকেট দখল করেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাটলারের সিদ্ধান্তকে যেন ভুল প্রমাণ করেন দ. আফ্রিকার ব্যাটাররা। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। প্রথম ওভারেই ইনফর্ম কুইন্টন ডি কক রিস টপলির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে ১২১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া রেজা হেনড্রিক্স।
ডুসেন আদিল রশিদের বলে আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৬০ রান করেন। আর রশিদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়া রেজা ৭৫ বলে ৯টির চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৫ করেন। টপলির বলে আউট হন এ ম্যাচে নেতৃত্বে দেওয়া এইডেন মার্করাম (৪২)।
মাঝে ডেভিড মিলার দ্রুত ফিরলেও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মার্কো জানসেনকে নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান হেনরিখ ক্লাসেন। তারা এই জুটিতে ৭৭ বলে ১৫১ রান তোলেন। ৬১ বলে সেঞ্চুরি পাওয়া ক্লাসেন শেষ ওভারে গাস অ্যাটকিনসনের শিকারে মাঠ ছাড়েন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া এই ডানহাতি শেষ পর্যন্ত ৬৭ বলে ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৯ রান করেন। তবে ৪২ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন জানসেন।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান টপলি। এছাড়া অ্যাটকিনসন ও রশিদ দুটি করে উইকেট পান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: