একের পর এক উইকেট হারিয়ে একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলতে গেলে একাই লড়াই করলেন শামীম। তার লড়াকু হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে আইরিশদের বিপক্ষে টেনেটুনে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে ১২৪ রানে।
আগের দুই ম্যাচে টস হারলেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে এসে টস জিতে নিজেরাই বেছে নিয়েছে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এবার শুরু থেকেই মহাবিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
৬১ রানের মধ্যে ৭ ব্যাটার মাঠ ছাড়েন। অষ্টম উইকেটে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ৩৩ বলে ৩৪ রানের একটি জুটি গড়ে দলকে সেই বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন শামীম। ৪০ বলে ফিফটি করে এই শামীমই শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন। ৪২ বলে গড়া তার ৫১ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার।
আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং রনি তালুকদার তাণ্ডব চালিয়েছিলেন আইরিশ বোলারদের ওপর। দ্বিতীয় ম্যাচে তো রীতিমত ১২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন তারা। এ দু’জনের উড়ন্ত সূচনার পর বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পার হয়ে গিয়েছিলো দুই ম্যাচেই।
কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে লিটন, রনি এবং শান্ত- তিনজনই ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ব্যাট করত নেমেই যথারীতি উড়ন্ত সূচনারই চেষ্টা করেছিলেন লিটন। একটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডেয়ারের বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় রান তখন ৯।
এরপর রনি তালুকদারও তার স্বভাবসুলভ ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সেই ঝড় থামিয়ে দিলেন কুর্তিস ক্যাম্ফার। ১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন রনি। দলীয় রান তখন ২৪। তার আগেই ১৮ রানের মাথায় ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বল খেলে ধুঁকতে থাকা শান্ত আউট হন কেবল ৪ রান করে।
ব্যাটিং বিপর্যয় চলমান রেখে দ্রুত আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান এবং তাওহিদ হৃদয়ও। দলকে ৪১ রানের মাথায় বসিয়ে আউট হন দু’জনই। ৬ বলে সাকিব ৬ রান করেন। সম্ভাবনাময়ী তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ওপর আস্থা ছিল এই বিপর্যয়ে হাল ধরবেন। কিন্তু তিনিও পারলেন না। দলীয় ৪১ রানের মাথায় আউট হন তিনিও। ১০ বলে একটি করে চার-ছক্কায় হৃদয় করেন ১২ রান।
সেখান থেকে অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন এবং শামীম পাটোয়ারী চেষ্টা করেন হাল ধরার। ২০ রানের জুটি গড়ে ৬১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রিশাদ। ৭ বলে ৮ রান করেন তিনি। তাসকিন আহমেদ আউট হন কোনো রান না করেই।
আইরিশ পেসার মার্ক এডায়ার ২৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামপ্রিস ১০ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি উইকেট।
এসটি/এসকে
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: