২৩৩ রানের লক্ষ্য, নতুন যুগের ক্রিকেটে ওয়ানডে ম্যাচে এ আর এমন কী! তবে অস্ট্রেলিয়ার সামনে এই লক্ষ্যটাই রীতিমতো এভারেস্টসম বানিয়ে বসেছিল নিউজিল্যান্ড। ৪৪ রানেই তুলে বসেছিল ৫ উইকেট, সেখান থেকে ক্যামেরন গ্রিন আর অ্যালেক্স ক্যারির রেকর্ড জুটি অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়।
কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নসের ক্যাজালিস স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট ফিরেছিল ১৯ বছর পর। দীর্ঘ বিরতির পর কেয়ার্নসে ফেরা এই ম্যাচে টস জেতে অস্ট্রেলিয়া, ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ডকে।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে ১০ রানে প্রথম উইকেট খুইয়ে বসেছিল ব্ল্যাক ক্যাপরা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়ালেও ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন আর টম ল্যাথামের তিনটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস বড় রানের পথেই রেখেছিল কিউইদের। ৪১ ওভার শেষে দলের রান ছিল ১৭৯। সেখান থেকে দলটি ২৪০ ও করতে পারেনি লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। জশ হেইজেলউডের তোপ সামলে রান করতে পারেননি মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশামরা। ফলে ২৩২ রানে থামে সফরকারীদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও ভালো হয়নি। শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল ডেভিড ওয়ার্নার দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছিলেন, বাকিরা তাও পারেননি। ফলে যা হবার তাই হয়েছে, ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে অজিরা, ৪৪ রানেই খুইয়ে বসেছিল ৫ উইকেট।
সেখান থেকে স্বাগতিকদের জয়টা কঠিনই মনে হচ্ছিল। সেই কঠিনটা সহজ হয়ে যায় গ্রিন-ক্যারির ১৬৩ বলে ১৫৮ রানের জুটিতে। দেশের মাটিতে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যা অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ, আর রানতাড়ায় সামগ্রিক রেকর্ডে অজিদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
দুজনের এই জুটির ফলে জয়টা যখন খুব কাছে মনে হচ্ছিল, তখনই আবার ছন্দপতন। ২০২ রানে ফেরেন ক্যারি। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ফেরেন দ্রুত, দুই বলের ব্যবধানে যখন মিচেল স্টার্কও ফিরলেন, তখন ম্যাচের ফলটা পেন্ডুলামের মতোই দুলছিল।
পরের গল্পটা কেবল গ্রিন আর অ্যাডাম জ্যাম্পার। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ২৬ রানের জুটিতে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: