এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শনিবার (২৭ আগস্ট) শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। লঙ্কানদের দেয়া ১০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে মোহাম্মদ নবি বাহিনী।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে হযরতউল্লাহ জাজাঈ ও রহমানের গুরবাজের উদ্বোধনী জুটিতে ৯৪ রান তোলে আফগানিস্তান। গুরবাজ ১৮ বলে ৪০ রান করে হাসারাঙ্গার শিকার হন। আফগানরা দ্বিতীয় উইকেটটি যখন হারায় তখন জয়ের জন্য তাদের আর দরকার ছিল ৩ রান। দলকে জয় এনে দিতে শেষ পর্যন্ত জাজাঈ ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। নাজিবউল্লাহ জাদরান করেন ২ রান।
এর আগে দুই দল টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল একবার, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবার বেশ সহজ জয়ই পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দেখায় অবশ্য অন্য আফগানিস্তানকে দেখল তারা। দুবাইয়ে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লু হয়েছিলেন গুরবাজ, তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সে দফা। এরপর আর ফিরে তাকাননি তিনি। প্রথম ৬ ওভারেই গুরবাজ ও জাজাই মিলে তোলেন ৮৩ রান। পাওয়ার প্লেতে এটিই আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন গুরবাজ, পরে জাজাইয়ের শট নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙলে রানআউট হন ইব্রাহিম জাদরান। লঙ্কানদের উল্লাসের উপলক্ষ শেষ তাতেই।
মাথিশা পাতিরানা নবীর দ্বিতীয় শিকার হলে শ্রীলঙ্কা ৭৫ রানেই হারায় ৯ উইকেট। নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৮২ রানের স্কোর তখন ভালোভাবেই চোখ রাঙাচ্ছিল লঙ্কানদের। সেটি হয়নি ওই করুনারত্নের সৌজন্যেই, শেষ উইকেট জুটিতে দিলশান মাদুশাঙ্কাকে নিয়ে তিনি যোগ করেন ২৯ বলে ৩০ রান। ওই জুটিতে অবশ্য মাদুশাঙ্কার অবদান ১ রানের। ইনিংসে ২ বল বাকি থাকতে ফারুকির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন করুনারত্নে, ৩৮ বলে ৩১ রান করার পর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: