তিন বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন: রাশেদা কে চৌধুরী

সময় ট্রিবিউন | ৩১ আগষ্ট ২০২১, ০৮:১৭

রাশেদা কে চৌধুরী-ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রাথমিক চিন্তা করেছে সরকার। আগামী বুধবার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার নিয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড হচ্ছে, সংক্রমণ ৫ শতাংশে নেমে আসতে হবে। অথচ রোববার সংক্রমণের হার ছিল ১৪.১৪। এমন অবস্থায় খোলার উপায় নিয়ে চলছে নানান আলোচনা।

আর তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্যই খোলা দরকার। কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। যদিও এ সময়ে আমরা লেখাপড়া অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু তা কতটা কার্যকর ছিল, সেটা বিবেচনাসাপেক্ষ। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ভাবনাকে স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ইতিবাচক হচ্ছে, সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের আগে একবারের জায়গায় তিনবার ভাবছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে তিনটি দিক অবশ্যই নিশ্চিত করা জরুরি। এগুলো হচ্ছে-পাঠদান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতা, সংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকাদান এবং অভিভাবকদের আস্থা অর্জন।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অভিভাবকদের আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে সরকার প্রশাসনের নেতৃত্বে টিম করে দিতে পারে। এ কমিটিতে অভিভাবক ও শিক্ষক থাকবেন। কমিটির কাজ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত কি না, সেটা দেখার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন কাজ তদারকি।

এক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বড় ভূমিকা আছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে পারে। এসব নিশ্চিত করা না হলে খোলার পর পরিস্থিতি নাজুক হওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে একটি দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে?

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে মিরপুরের একটি বড় স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়েছেন এক ছাত্র। সঙ্গে তার মা ছিলেন। ওই মা আমাকে জানিয়েছেন, স্কুলে ময়লা-আবর্জনায় ভরা। বেঞ্চিতে ধুলোর আস্তরণ। বাথরুমে গিয়ে ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই যদি হয় স্কুল খোলার প্রস্তুতি, তাহলে খোলার পর পরিস্থিতি আরও পীড়াদায়ক হবে। অভিভাবকরা সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরুৎসাহিত হবে। আমি যতটা জেনেছি, মিরপুরের উল্লিখিত স্কুলের চিত্র প্রায় সারা দেশেই বিদ্যমান।

তিনি আরও বলেন, সরকার ১৮ বছর পর্যন্ত সবাইকে টিকা দেওয়ার কথা বলছে। কেবল শিক্ষার্থীদের কথা বেশি বেশি আসছে। কিন্তু ১৩ লাখ শিক্ষকের সবাই টিকা দিল কি না, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিস্থিতি কী, সেটাও আলোচনায় সামনে আনা প্রয়োজন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: