আপনি যদি নিজ মতাদর্শ ও বিশ্বাসের পাশাপাশি অন্যের ধর্ম, চিন্তা ও মতামতকে সম্মান দিয়ে চলতে পারেন তাহলেই সংবিধান, রাষ্ট্রীয় আইন এবং হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনুযায়ী এই জনপদে নির্বিঘ্নে বিচরণ করতে পারবেন, নচেৎ সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে আপনার ঠাঁই হবেনা।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষ মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। আমার দেশ সব মানুষের, সব মানুষের....
অদূর ভবিষ্যতের বাংলাদেশের সামনে দুটি রাস্তা খোলা রয়েছে, হয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর চরম উত্থানের সাথে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামার মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি অস্তিত্বহীন হয়ে তালেবানী ঘরনার আবির্ভাব ঘটবে, নচেৎ যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চায় তারা কালের গর্ভে হারিয়ে যেয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতির অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে নিজ সক্ষমতার জানান দিবে।
সহজ করে বললে, সাম্প্রদায়িক অরাজকতা সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীরা এতই ভয়ংকর যে, জিয়া এরশাদ থেকে শুরু করে অনেক কুতুব মহারথী তাদের সরাসরি তাবেদারি করে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে হুংকার দেয়ার সাহস একমাত্র শেখ হাসিনাই দেখিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু তনয়াই তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের মাধ্যমে 'বাংলাদেশের ক্যান্সার' সমতুল্য সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে একলা ঠেকিয়ে রেখেছেন। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কোন বাংলাদেশকে দেখতে চান এবং কোন পথে হাঁটতে চান, তার উপরই নির্ভর করবে আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যত।
লেখক, আসীর মুরাদ তালুকদার
উপ-প্রচার সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: