চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার চট্টগ্রামের নন্দনকাননে অবস্থিত। বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এই বিহার প্রতিষ্ঠা করে। এই বিহার বাংলাদেশের বৌদ্ধদের অন্যতম পূণ্যস্থান হিসাবে বিবেচিত হয়।
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী মহামুনি গ্রামে টিলার উপর মহামুনি বৌদ্ধ বিহার অবস্থিত। ধারণা করা হয়, ১৮১৩ সালে চাইংগা ঠাকুর নামের এক বৌদ্ধ ধর্মগুর্ম রু মহামানব গৌতম বুদ্ধের মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে এই বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন।
গৌতম বুদ্ধের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখা হয় মহামুনি মন্দির। আবার ড. রামচন্দ্র বড়ুয়া তাঁরতাঁ ‘চট্টগ্রামের মগের ইতিহাস প্রাগুক্ত’ গ্রন্থে ১৮০৫ সালে মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের মন্দির ও মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এই স্থাপনাটি প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন এ বেপারে কোন সন্দেহ নেই। ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে মং সার্কেলে রাজা মহামুনি বৌদ্ধ বিহার চত্বরে চৈত্র মাসের শেষ দিন থেকে এক মেলার প্রবর্তন করেন। যা দেশজুড়ে মহামুনি মেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। তৎকালীন সময়ে অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী মেলায় আগমন করতেন। ঐতিহাসিক মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের জন্য বর্তমানে এই গ্রামটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক পবিত্র তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
মহামুনি বৌদ্ধ বিহার দেখতে যেতে চাইলে প্রথমে চট্টগ্রাম আসতে হবে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে বাসে কাপ্তাই সড়ক ধরে রাউজান পাহাড়তলী নেমে সিএনজি কিংবা রিকশায় চড়ে মহামুনি বৌদ্ধ বিহার যেতে পারবেন।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: