এমপি-মন্ত্রীর মেয়ে আমাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত: নোবেল

সময় ট্রিবিউন | ৭ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৪৫

নোবেল-সালসাবিল ছবি: ফেসবুক

বিতর্কিত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল বলেছেন, সালসাবিল মাহমুদের চেয়ে সুন্দরী ও ভালো মেয়ে বিয়ে করব। এমপি-মন্ত্রীর মেয়ে বিয়ে করতে প্রস্তুত আমাকে।

বিয়ের দুই বছর না গড়াতেই সম্পর্কের অবনতি হয়েছে নোবেল-সালসাবিল দম্পত্তির। এরই মধ্যে স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের কাছ থেকে বিচ্ছেদের নোটিশ পেয়েছেন গায়ক। বিচ্ছেদের নোটিশ পেয়ে হতাশ নয়, বরং খুশিই হয়েছেন ‘সারেগামাপা’ প্রতিযোগিতার আলোচিত এই শিল্পী। অভিযোগ করেছেন, সালসাবিল তাঁকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হিসেবে সালসাবিল উল্লেখ করেছেন শারীরিক নির্যাতন ও নোবেলের পরকীয়ার প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, ‘মারধর ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছি। সে অনেক মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করত। শুরুতে ভেবেছিলাম, ঠিক হয়ে যাবে। অনেক চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু ঠিক হয়নি।’

নোবেল ‘মানসিকভাবে অসুস্থ এবং চরমভাবে মাদকাসক্ত’ বলেও অভিযোগ করেছেন সালসাবিল।

তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নোবেল। উল্টো সালসাবিলের বিরুদ্ধেই এন্তার অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সে মিথ্যাবাদী। ওর বিষয়ে আমি আর মাথা ঘামাতে চাই না। সে টাকার বিনিময়ে আমাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে আমার জীবনে এসেছে। ও চলে যাচ্ছে। আমি আমার জীবন নতুন করে সাজাব। ওর চেয়ে সুন্দরী ও ভালো মেয়ে বিয়ে করব। এমপি-মন্ত্রীর মেয়ে বিয়ে করতে প্রস্তুত আমাকে।’

বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে ‌নোবেল বলেছেন, ‘দুজনের বনিবনা হয় না। সে আমার অনেক বড় ক্ষতি করেছে। আমার কাছে তথ্য আছে, বাংলাদেশের এক সেলিব্রেটি তাকে হায়ার করেছে আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য। বড় এক সেলিব্রেটির হাত রয়েছে এর পেছনে।’

অভিযোগ করেছেন, তাঁর পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র গায়েব করে দিয়েছেন সালসাবিল। ব্যাংক থেকেও বড় অঙ্কের টাকা সরিয়েছেন তিনি।

নোবেল বলেন, ‘সে আমার পাসপোর্ট, এনআইডি গায়েব করে দিয়েছে। আমার ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলেছে। তবে আমি মাইন্ড করিনি। আমার বউ ৩০ লাখ কেন, কলিজা কেটে নিলেও আমি মাইন্ড করি না। কিন্তু বলব, বড় বাঁচা বেঁচে গেছি। শুধু তা-ই নয়, সে আমাকে মারধর করেছে। আমাকে বিষ পর্যন্ত খাওয়ানো হয়েছিল।’

বুধবার দুপুরে নোবেল তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ডিভোর্স’ লিখে স্ট্যাটাস দেন। এরপরই তাঁদের বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

সালসাবিলও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে। তিনি লিখেছেন, ‘যদিও আমার পাঠানো ডিভোর্স লেটারটায় সাইন দেওয়া হয়েছে কি না, তা আমি এখনো জানি না। একটা ডিভোর্স অথবা সংসার ভেঙে যাওয়া কখনোই সুন্দর কিছু না। তারপরও আমি নোবেলের সার্বিক সুস্থতা কামনা করি এবং তাঁর ভবিষ্যতের জন্য আমার তরফ থেকে সব সময় দোয়া থাকবে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: