তিন দফায় ৭ দিনের রিমান্ড আর ২৮ দিন কারাভোগের পর অবশেষে জামিন পেয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।
পরীর জামিন পাওয়ার সংবাদে শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। পুরোনো ভুল শুধরে নিয়ে নতুন করে চলার কথাও বলছেন।
এবিষয়ে চলচ্চিত্রকার কাজী হায়াৎ বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে পরী অনেক কিছুই শিখেছে, কারাগারেও থাকতে হয়েছে। হয়তো পরী এবার নিজেকে শুধরে নেবে। সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো থেকে পরীর শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। পরীর সঙ্গে আমার কোনো কাজ হয়নি। তার সঙ্গে আমার ওভাবে পরিচয়ও নেই। তবে পরীর সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, ওর লাইফস্টাইটা ভিন্ন। এটা ঠিক না। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই মুসলিম। আর এটা পুরুষতান্তিক সমাজ। এখানে মেয়েদের অনেক দোষত্রুটি। তাদের নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। পরীর বিষয়েও তাই হয়েছে। এই কয়েকদিনে ওর চলাফেরা, কথাবার্তা সব কিছু নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর বনানীর ১২ নম্ব রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় বাসা থেকে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি এবং একটি পাইপ জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মাদক আইনে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীর চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড পাঠান আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মামলায় তৃতীয়দফা রিমান্ড আবেদনে গত ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: