চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মদিন আজ

সময় ট্রিবিউন | ১০ আগষ্ট ২০২১, ১৭:৪৯

ছবি: ইন্টারনেট

প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের আজ মঙ্গলবার ৯৮তম জন্মদিন। ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট বাংলাদেশের নড়াইলের মাসিমদিয়া গ্রামে এক কৃষক পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

জন্মদিন উপলক্ষে নড়াইলে তার সমাধিতে নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোসহ সুলতান কমপ্লেক্সে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিল্পী এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, করোনা সংকটের কারণে এ বছর সংক্ষিপ্ত পরিসরে জন্মদিন পালন করা হচ্ছে।

বাবা-মার আদরের লাল মিয়া উরফে এস এম সুলতান তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক ও কৃষিকাজের মাধ্যে; যার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তার চিত্রকর্মগুলোতে। এস এম সুলতানই প্রথম এশীয়, যার আঁকা ছবি পাবলো পিকাসো, সালভাদোর দালি, পল ক্লির মতো বিশ্ববিখ্যাত আঁকিয়েদের ছবির সঙ্গে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে।

পশুপ্রেমী এস এম সুলতান যেমন ছিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী, তেমনই ছিলেন সুরসাধক। বাঁশিও বাজাতেন চমৎকার। চিত্রকর্মের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এসএম সুলতানের হাতেখড়ি শৈশব থেকেই এলাকার জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের হাত ধরে। তখন কলকাতা আর্ট স্কুলের ছাত্র ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথের ভাইপো অরুণ রায়। সেই অরুণের কাছেই সুলতানের ছবি আঁকা শুরু। পরবর্তীতে তিনিও সেই কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হন। সেখানে সহপাঠী হিসেবে পান জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, সফিউদ্দিনের মতো আরো অনেক গুণী চিত্রশিল্পীদের। পুরুলিয়ার নন্দকানন প্রাইমারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এস এম সুলতান তৃতীয় বর্ষেই আর্ট স্কুল ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বেড়িয়ে যান। ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে ছবি এঁকে তা বিক্রি করেই জীবনধারণ করতেন।

শিশুশিক্ষা প্রসারের অন্যতম অগ্রদূত এসএম সুলতান ১৯৭৬ সালের আগ পর্যন্ত শিল্পরসিকদের চোখের আড়ালেই ছিলেন। এ সময় তার আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির প্রদর্শনীতে তার ছবির মহিমা নতুন করে ছড়িয়ে পরে। আঁকার জন্য তিনি একেবারে সাধারণ কাগজ, রং এবং চটের ক্যানভাস ও কয়লা ব্যবহার করতেন। বরেণ্য এই চিত্রশিল্পী ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর মারা যান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: