ইউএনওকে বোকা বানিয়ে কনে উঠিয়ে নিয়ে গেলো বর

সময় ট্রিবিউন | ২৬ জুলাই ২০২১, ২৩:১১

ছবিঃ সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইলের রসুলপুর এলাকার মনাকসা গ্রামে বিয়ের সব রকম আয়োজন চলছিল নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর জন্য। রবিবার (২৫জুলাই) সকাল থেকেই ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন চললে, লকডাউনে বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন খবর যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মনসুরের কাছে। তিনি ঘটনা অবহিত হয়ে নান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হককে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। 

স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বাড়িতে পাঠালে বিয়ের আয়োজন নেই বলে জানায় পরিবার। কিন্তু এর ঘণ্টাখানেক পর বর এসে তড়িঘড়ি করে প্রকাশ্যে কনেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ময়মনসিংহের নান্দাইলের রসুলপুর এলাকার মনাকসা গ্রামে এ বাল্যবিয়ের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মো. রতন মিয়ার মেয়ে উপজেলা সদরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের মো. জুয়েল মিয়ার ছেলে রিয়াজের (২০) সঙ্গে। 

জানা যায়, চেয়ারম্যান বাড়িতে যাওয়ার পরই বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মেয়ের বাবা। তিনি চেয়ারম্যানকে জানান, চাচাতো ভাইয়ের নববধূ আনায় সকলেই আনন্দ-ফুর্তি করছিল। নিজের মেয়ের বিয়ের খবর ভিত্তিহীন। এ সময় সেখান থেকেই মেয়ের বাবাকে ফোনে কথাও বলানো হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি মেয়ের বাবার কথায় বিশ্বাস করে বিয়ে বন্ধের তৎপরতা বন্ধ করে দেন। এর ঘণ্টাখানেক পরেই একটি মোটরসাইকেলযোগে বর আসেন বিয়েবাড়িতে। আর তখনই খাওয়াদাওয়া ছাড়াই দ্রুত কনেকে নিয়ে চম্পট দেন নিজ বাড়িতে। 

মেয়ের বাবা রতন মিয়া জানান, বিয়ে নয় মেয়েকে দেখতে আসছিল বরপক্ষের লোকজন। তাহলে উঠিয়ে নিয়ে গেল কেন জানতে চাইলে রতন মিয়া বলেন, ‘আমার শ্বশুর বাড়ির দিকের আত্মীয় হয় ছেলেটি (বর)। তাদের সঙ্গে ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে গেছে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘এভাবে চুরি করে যদি বিয়ে দেয় তাহলে কী করণীয় আছে। তার পরও কেন চেয়ারম্যান যাওয়ার পর বিয়েটা হলো তা খোঁজ করে দেখা হবে।’

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: