ব্যান্ড সংগীতের গুরু আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সময় ট্রিবিউন | ৬ জুন ২০২১, ০০:০২

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সংগীতের ‘গুরু’ আজম খানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে আজকের এই দিনে (৫ জুন) মারা যান তিনি।

ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। ১৯৫৬ সাল থেকে কমলাপুরে বসবাস শুরু করেন আজম খানের পরিবার। একই বছর কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন। মাত্র ২১ বছর বয়সে ঢাকা উত্তরের সেকশন কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই পপ তারকা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আখন্দ ভ্রাতৃদ্বয় (লাকী আখন্দ ও হ্যাপি আখন্দ) ও আরো কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’।

১৯৭২ সালে ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিটিভিতে। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় এ দুটো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে যায় তাদের ব্যান্ড। ১৯৮১ সালে ১৪ জানুয়ারি, সাহেদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় আজম খানের। আজম খান ১৯৭৪-১৯৭৫  সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ শিরোনামে গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন।

তার জনপ্রিয়  গানের তালিকায় আছে- ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অনামিকা’, ‘হারিয়ে গেছে’, ‘বাংলাদেশ’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আসি আসি বলে’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘পাপড়ী’, ‘অভিমানি’, ‘এই গান শেষ গান’ ইত্যাদি।

ব্যাক্তিগত জীবনে খুবই সহজ - সরল ছিলেন  পপ সম্রাট আজম খান ।  গানের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের হৃদয় ছুঁয়েছেন এই রকস্টার।

ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সবাইকে কাদিয়ে ২০১১ সালের ৫ই জুন শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন আজম খান। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: