সন্তান পেটে নিয়ে সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন পরীমণি  

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ৯ এপ্রিল ২০২৩, ২২:১৯

সংগৃহীত
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার আগে শেষ শুটিং করা আলোচিত ‘মা’ ছবিটি এবার আসছে মুক্তির আলোয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্পের ওপর এই চলচ্চিত্র। 
 
গতকাল শনিবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর এক রেস্তোরাঁয় বেশ ঘটা করে ছবিটি মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেন নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। এ সময় হাজির ছিলেন পরীমণি। তারা জানান, মা দিবস (১৪ মে) উপলক্ষে ‘মা’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ১৯ মে। 
 
অরণ্য আনোয়ার বলেন, শুরু থেকেই আমি চেয়েছি ছবিটি মা দিবসেই মুক্তি পাক। পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি উৎসর্গ করে নির্মিত ছবিটি ১৯ মে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আজ থেকে সেই মুক্তির মিছিল শুরু হলো আমাদের।
 
গল্পটা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্প। সাজিয়ে-গুছিয়ে তা সিনেমা আকারে পর্দায় তুলে আনছেন নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। নাম দিয়েছেন ‘মা’। আর সেই মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
 
গেল বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয় ‘মা’ সিনেমার কাজ। এর মধ্যে মাতৃত্বের কারণে সাময়িক অবসর নেন পরী। তবে তার আগে শেষ সিনেমা হিসেবে ‘মা‘ সিনেমার কাজ সম্পন্ন করেন।
 
সিনেমাটি প্রসঙ্গে পরীর বলেন, এই সিনেমার জার্নিটা সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার। ‘মা’ যখন শুটিং করি, তখন চার মাসের রাজ্য (পরীর পুত্র সন্তান) আমার পেটে ছিল। ওকে পেটে নিয়ে আমি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর এখন যখন ছবিটি মুক্তির মিছিলে, তখন রাজ্য আমার কোলে। এটা যে কতটা আনন্দের অনুভূতি, বোঝানো যাবে না।  
 
‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ নামে তারই ঝলক পর্দায় দেখানো হলো অনুষ্ঠানে। সেটি প্রকাশ করা হয় সিনেমার নামে খোলা ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে। যেখানে সিনেমার ঝলকের পাশাপাশি উঠে এসেছে এটি নির্মাণের পেছনে নির্মাতার বয়ান এবং তাকে ঘিরে অন্য শিল্পী-নির্মাতাদের মন্তব্য।
 
অরণ্য আনোয়ার এর আগে  ‘আমাদের নুরুল হুদা’র মতো ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। তিন দশকের ক্যারিয়ারে ‘মা’ তার প্রথম নির্মিত সিনেমা। 
 
অরণ্যে পুলক (এপি)-এর ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, সাজু খাদেম, রেবেনা করিম জুঁই, শিল্পী সরকার অপু, সেতু, লাবণ্য, শাহাদাত হোসেন।
 
এসটি/এসকে

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: