দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ছাত্রপড় দেওয়া হয়।
এ সময় আঁখি তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, এখনও আমার সেই দিনের ঘটনা বারবার চোখে ভেসে ওঠে। আমি তখন শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম; কস্টিউম পড়ার আগে বাথরুমে যাই। সেখানে লাইট চালু করতেই চোখের সামনে বারবার স্পার্ক হতে দেখি। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নীল আগুনের লাভার মত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে আমি আমার হাত দিয়ে মুখ ঢাকি। তখন আমার হাতের চামড়া গুলো চটচট করে ফুটছিলো। বিস্ফোরণে বাথরুমের দরজা, ভিতরের সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। আমি ছিটকে বাইরে এসে পড়ি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর নানাভাবে কুৎসা রটানো হচ্ছিল যে, আমি বাথরুমে ধূমপান করার সময় সেখানে বিস্ফোরণ হয়। যেটি একদমই সত্য নয়। সেখানে জমে থাকা কোনো গ্যাস থেকেই এ বিস্ফোরণ হতে পারে।
ঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সেরকম মনে করছি না। আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি একটি দুর্ঘটনা। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও নিজের কাউন্সেলিং প্রয়োজন বলে জানান শারমিন।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির বলেন, দুর্ঘটনাটিতে শারমিন আখি ভুক্তভোগী হওয়ার পরেও এখনো হাউসটি বন্ধ হয়নি। যদি নুসরাত ইমরোজ তিশা এমন ঘটনার শিকার হতো তাহলে পরদিনই শুটিং হাউসটি বন্ধ হয়ে যেত। কারো দায়বদ্ধতা না থাকলে এমন ঘটনা ঘটবেই। ঘটনার পর প্রথম ২০ দিন শুটিং হাউসের মালিক আমাদের সঙ্গে একবারের জন্যও যোগাযোগ করেনি। তাদের উচিৎ ছিল প্রথমদিনই হাসপাতালে আসা। কিন্তু আসেননি।
প্রসঙ্গত, ২৮ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে মিরপুর-১১ এর কালশি রোডের অ্যাপেক্স শোরুমের পাশের একটি শুটিং হাউসে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিনেত্রীর দুই হাতের সম্পূর্ণ, দুই পা, মুখমণ্ডল ও মাথার একপাশসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: