ভারতীয় অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী নিজের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন তার ভেরিফাইড ইনস্টাগ্রাম পেজে। লিখেছেন, আমি আর আলিয়া একসঙ্গে থাকছি না, আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
কয়েক মাস ধরেই আলিয়া সিদ্দিকী ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সংসারের সমস্যা নিয়ে নানা ধরনের খবরের ছড়াছড়ি চলছিল। আলিয়া সিদ্দিকীর অভিযোগ ছিল, নওয়াজ তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন। এমনকি অভিনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও করেছেন তিনি। তবে এত সব অভিযোগে অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন ছিলেন চুপচাপ। অবশেষে নিজের ভেরিফাইড ইনস্টাগ্রাম পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে বিচ্ছেদের কথা খোলাসা করেছেন এই অভিনেতা।
পোস্টের শুরুতেই নওয়াজ লিখেছেন, এটা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নয় বরং নিজের দিক তুলে ধরা। কয়েক মাস ধরে তাকে ‘বাজে মানুষ’ হিসেবে তুলে ধরা হলেও সন্তানদের কথা ভেবে এত দিন চুপ ছিলেন তিনি।
পোদটে নওয়াজুদ্দিন বলেন, প্রথমত, কয়েক বছর ধরে আমি আর আলিয়া একসঙ্গে থাকছি না, আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তবে বিচ্ছেদ হলেও সন্তানদের কথা ভেবে আমাদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আছে।
সন্তানদের কথা উল্লেখ করে নওয়াজুদ্দিন আরও বলেন, কেউ কি জানে আমার সন্তানেরা এখন ভারতে? ৪৫ দিন ধরে তারা স্কুলে যেতে পারছে না? স্কুল থেকে চিঠি পাঠিয়েছে। দেড় মাস ধরে তাদের আটকে রাখা হয়েছে, দুবাইয়ের স্কুলে যেতে পারছে না তারা।
আলিয়ার কেবল টাকার চাহিদা। আগেও এই ধরনের কাজ করছে। এখনো চাহিদাগুলো না মেটাতে পারায় অযৌক্তিক অভিযোগ এনে আমার সম্মান, ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি কখনোই চাইব না সন্তানের কোনো ক্ষতি হোক- এমনটি উল্লেখ করেছেন এই অভিনেতা।
আলিয়া এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, নওয়াজ সন্তানদের দায়িত্ব নিতে চান না। তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন, আর্থিক সাহায্যও করেন না। এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নওয়াজ জানান, আলিয়ার বক্তব্য পুরো মিথ্যা। মুম্বাই ছাড়াও দুবাইতেও স্ত্রী ও সন্তানদের ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন তিনি। মাসে ১০ লাখ রুপি স্ত্রীর হাতখরচ দেন। এ ছাড়া সন্তানদের স্কুলের খরচ, ঘুরতে যাওয়ার খরচও বহন করেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: