হাওয়া সিনেমার পরিচালকের নামে মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ

আফিফ আইমান | ২৯ আগষ্ট ২০২২, ২২:৩০

সংগৃহীত

রোববার (২৮ আগস্ট) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অবগত না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক আপোষ নিষ্পত্তি করার আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের দায়ের করা মামলাটি সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দীপংকর বর আরও জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৪৩ মোতাবেক মামলাটি আপোষযোগ্য হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারা মোতাবেক রোববার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়টি গ্রহণপূর্বক শুনেছেন এবং পরবর্তী তারিখে রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেছেন।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে আলোচিত চলচ্চিত্র 'হাওয়া'র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের নামে মামলা করে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

মামলায় বাদী হন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা। সাক্ষী করা হয় তদন্ত কমিটিতে কাজ করা অপর তিন সদস্য- আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাসকে।

এছাড়াও সিনেমাটির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। আইন লঙ্ঘন হওয়ায় ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শন বন্ধ চায় পরিবেশবাদী ৩৩টি সংগঠন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ আগস্ট সিনেমা হলে গিয়ে হাওয়া সিনেমা দেখে আসে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

এর আগে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন করায় ১৫ কোটি টাকার মামলা হয় নাট্যনির্মাতা অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে। ‘শেষ গল্পটা তুমিই’ নাটকের একটি দৃশ্যে খাঁচাবন্দি টিয়া পাখি দেখানোয় তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: