বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত চ্যাট করছেন কারও না কারও সঙ্গে। ছবি, ভিডিও, ফাইল শেয়ার করছেন বন্ধুদের সঙ্গে। এছাড়া কমবেশি সবাই বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যাপটিকে সুরক্ষিত রাখাও বেশ কঠিন কাজ। বর্তমানে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও অনলাইন শপিং অ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে সবাই কমবেশি চিন্তিত। কারণ অ্যাকাউন্ট হ্যাক থেকে শুরু করে অনলাইন প্রতারণা অনেক বেড়ে গেছে। জেনে নিন হ্যাকার থেকে বাঁচার উপায়-
টু স্টেপ অথেনটিকেশন : টু স্টেপ অথেনটিকেশন অন করা থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকে। এটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান করে। এর ফলে অ্যাকাউন্ট রিসেট এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ৬ সংখ্যার পিন চেয়ে থাকে। ফলে আপনার অজান্তে অন্য কেউ এই কাজগুলো করতে পারবে না।
টাচ আইডি, ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক : হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের অ্যাকাউন্ট বা অ্যাপ্লিকেশনটি আইফোনে টাচ আইডি এবং ফেস আইডির মাধ্যমে ও অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লকের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ : এই ফিচারটি অন থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর কোনো চ্যাট বা সব চ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যায়। সেন্ডার বা রিসিভার উভয়েই এই ফিচারটি ২৪ ঘণ্টা, ৭ দিন বা ৯০ দিনের পর এটি আর দেখতে পাবেন না। ফলে তথ্য বেহাত হওয়ার সুযোগ কম থাকে।
ভিউ ওয়ান্স : এই ভিউ ওয়ান্স ফিচারটি কোনো ফটো এবং ভিডিও, রিসিভার একবার দেখার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এর ফলে ব্যবহারকারী আরও গোপনীয়তা পাবেন।
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ : হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা আই ক্লাউড বা গুগল ড্রাইভে তাদের চ্যাট ব্যাকআপগুলো সুরক্ষিত করতে একটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সিকিউরিটি যুক্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ ক্লাউডে মেসেজ এবং মিডিয়া সেভ করা হয়। ফলে এটি একটি এনক্রিপশন দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।
গ্রুপ প্রাইভেসি সেটিংস : হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিং এবং গ্রুপ ইনভাইট সিস্টেম, কোনো গ্রুপে মেম্বারদের জয়েন হওয়া বা জয়েন করানোর বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে একদিকে যেমন যে কেউ কোনো ব্যক্তিগত গ্রুপে জয়েন করতে পারে না, তেমনি কাউকে না চাইলে গ্রুপে জয়েন করানো যায় না।
এটি আদতে গ্রুপ সেটিং, যা অ্যাডমিনদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে সেটিং পরিবর্তন করা ও গ্রুপে কে মেসেজ পাঠাতে পারবে তা নির্ধারণ করা যাবে। ফলে অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে। অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: