স্পটিফাইকে টেক্কা দিতে ২০১৫ সালে বাজারে আসে ইউটিউব মিউজিক। মূলত গান ও গানের ভিডিও সরবরাহ করে অ্যাপটি। আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার প্রায় ১০৪টি দেশে ইউটিউব মিউজিক চালু আছে।
গুগলের তথ্য বলছে, প্রতি মাসে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ইউটিউব মিউজিকে গান শুনতে আসে। ব্যবহারকারীদের আরও সংগীতমুখী করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ইউটিউব মিউজিকে নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করেছে গুগল। নতুন ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহকদের গানের প্রতি আরও আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। থাকবে বাড়তি কিছু সুবিধাও।
গানের লিরিকস
এখন থেকে লিরিকসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে গান শোনা যাবে। কোনো গানের নির্দিষ্ট অংশের লিরিকস নির্বাচন করলে, ঠিক ওখান থেকে গান চালু হবে। ব্যবহারকারীরা যাতে সহজে পছন্দের গান খুঁজে শুনতে পারেন, মূলত সেই লক্ষ্যে কাজ করছে গুগল। হোম ট্যাবের জন্য শিগগির আসছে নতুন ফিচার। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দ্রুত প্রিয় গান ও প্রিয় শিল্পীকে খুঁজে নিতে পারবেন। ফিচারটির লক্ষ্য হচ্ছে, সময় বাঁচানোর পাশাপাশি সংগীতের জগৎকে উপভোগ্য করে তোলা।
সহজে নতুন গান খোঁজা
ইউটিউব স্যাম্পল ট্যাবের শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নতুন গানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীরা সুইপ করে গান পরিবর্তন করতে পারেন। চাইলে নিজের সংগ্রহশালায় টুকে নিতে পারেন প্রিয় গানটি। মোদ্দাকথা, এই ফিচারে ঝামেলা ছাড়াই নতুন গানের স্বাদ পাওয়া যাবে।
শোনার অভিজ্ঞতায় পরিবর্তন
ব্যবহারকারীদের পছন্দ অনুযায়ী, ইউটিউব মিউজিক গান শোনার সেশন তৈরির ব্যবস্থা রেখেছে। পছন্দের শিল্পী ও গানের ধরনে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবহারকারীরা চাইলেই তৈরি করে নিতে পারেন নিজস্ব রেডিও স্টেশন।
এআই দিয়ে কভার আর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের ইংরেজি ভাষাভাষীদের জন্য গুগল পরীক্ষামূলকভাবে একটি ফিচার চালু করেছে। এতে নিজের প্লে-লিস্টের জন্য এআইয়ের মাধ্যমে কভার ছবি তৈরি করা যাবে। ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত প্লে-লিস্টের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল থিম থেকে ছবি বেছে নিতে পারবেন। এআই দিয়ে কভার ছবি তৈরির ফিচারটি বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে চালু থাকলেও ভবিষ্যতে অন্যান্য অঞ্চলে ও ভাষায় পাওয়া যাবে।
অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ
এখন থেকে ইউটিউব মিউজিকে কমেন্ট করার ব্যবস্থাও যুক্ত হচ্ছে। ব্যবহারকারীরা যেকোনো আলোচনায় যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ভাবনাগুলো সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। অ্যাপের মাধ্যমে বড় বড় কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা তো থাকছেই। এ ছাড়া সংগীতপ্রেমীদের চিন্তাচেতনা ভাগাভাগি করতে ফিচারটি বেশ কার্যকর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: