ডিবিআইডি একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যার লক্ষ্য বাংলাদেশের বিক্ষিপ্ত ব্যবসাগুলোকে একত্রিত করা। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবসার জন্য অনন্য শনাক্তকারী ইস্যু করবে যা সরকারকে বাংলাদেশের ব্যবসার কার্যক্রম সনাক্ত, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে দেবে।
দেশে ই-কমার্স করতে হলে উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ডিবিআইডি) নিতে হবে। যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসা করবেন, তাঁদেরও এই নিবন্ধন লাগবে। এতে একদিকে গ্রাহকেরা প্রতারিত হলে প্রতিকার পাবেন, অনলাইন ব্যবসায় স্বচ্ছতাও আসবে। নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সহজ করতে সরকার ১৩ আগস্ট ওয়েবসাইট চালু করেছে।
ডিবিআইডি সফটওয়্যারটির তদারকি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্প। এটুআইয়ের জাতীয় পরামর্শক আবদুল মুত্তালিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আবেদন ও অনুমোদন—দুটি প্রক্রিয়াই যতটা সম্ভব সহজ রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবসাকে একটি কাঠামোর মধ্যে আনা সহজ হবে।
এত দিন দেশে ই-কমার্সের কোনো নীতিমালা বা নিবন্ধনের ব্যবস্থা ছিল না। গত বছরের জুলাইয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০২০ নামে একটি নির্দেশিকা প্রণয়ন করে। এই নীতিমালার আলোকে চলতি বছরের ২৯ জুন ‘ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিটি নিবন্ধন নির্দেশিকা’ অনুমোদন দেয় সরকার।
ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ডিবিআইডির প্রস্তাব করা হয়েছিল। নতুন উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স পেতে সহায়ক হবে ডিবিআইডি। ডিবিআইডির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন। ক্রেতারাও কেনাকাটায় নিরাপত্তা পাবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: