বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবার বাস্তবতায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও নানা ধরণের অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানই টেলিমেডিসিন সেবাদানের কার্যক্রম শুরু করেছে, যা নিয়ে নানামূখী প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে যে হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় রোগীর অবস্থা গুরুতর না হলে হটলাইনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এই হটলাইন নাম্বার খুঁজতে কেউ যদি গুগলে ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর হটলাইন নাম্বার’ লিখে সার্চ দেন, তাহলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটের মেটা ডেসক্রিপশনে বিভিন্ন পর্ন সাইটের ঠিকানা দেখাচ্ছে।
বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
আহমেদ জারিফ নামের এক চিকিৎসক লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে গুগল সার্চে এমন আসছে। অনলাইনের যুগে সবাই অনলাইনে সার্চ করে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অতি ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছি, এটা সাইট ডেভেলপারদেরই কাজ অথবা সাইট হ্যাকড। বেশ লজ্জা পেয়েছি। দয়া করে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।’
দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অধিদফতরটির এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। আহমেদ জারিফ নামের এক চিকিৎসক লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে গুগল সার্চে এমন আসছে। অনলাইনের যুগে সবাই অনলাইনে সার্চ করে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অতি ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছি, এটা সাইট ডেভেলপারদেরই কাজ অথবা সাইট হ্যাকড। বেশ লজ্জা পেয়েছি। দয়া করে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।’
সোমবার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা এই ওয়েবসাইটের পেছনে খরচ হলেও এটি নিয়ে আমাদেরও অসংখ্য অভিযোগ আছে। নিয়মিতভাবে এটিকে আপডেট করা হয় না। ডিজাইনটাও মনে হয় অনেক পুরনো আমলের। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা হতাশাজনক।’
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশিদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিষয়টি নিয়ে এমআইএসের (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) সঙ্গে কথা বলছি। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: