বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৪টি জেলারই বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। আদর্শ মাত্রার মধ্যে আছে মাত্র ১০টি জেলার বায়ুর মান। এই অতিরিক্ত বায়ু দূষণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ছে মানুষের প্রজনন ক্ষমতাসহ সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর।
বায়ু দূষণ নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তার অভিযোগ বায়ু দূষণ কমাতে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকা নেই।
তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকা! বিশেষত, এই শহরের বায়ুদূষণ নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর হচ্ছে প্রতি সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন। অথচ দূষণ কমানোর নূন্যতম সদিচ্ছা কোন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মধ্যে নেই!!
মানহীন গণপরিবহন ৮০ ভাগ বহু আগেই ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কর, পিস্টন-ইঞ্জিনের বেহাল দশা, প্রতিনিয়ত মারাত্মক ক্ষতিকর কালো ধোঁয়ার নান্দনিক প্রদর্শনী চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের চোখের সামনে, নাকের ডগায়; অথচ তাদের অধিকাংশই মাস্ক পরে, রুমাল চেপে, মুখ ঘুরিয়ে কি নির্লিপ্ত-নির্বিকার!
বিআরটিএ ইন্সপেক্টরগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কখনো চিন্তাও করে না, দালালের মাধ্যমে কয়টা টাকা ঘুষ নিয়ে এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ীর ফিটনেস তথা পরিবেশ দূষণের সার্টিফিকেট দিয়ে প্রকারান্তরে সমাজের, নিজের ও আপনজনের জন্য কি মারাত্মক ক্ষতির দ্বার উন্মোচন করছেন!
তথাকথিত পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কারো কভু মনেও হয় না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে এই দূষণের বিরুদ্ধে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করা তাদের নৈতিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পরে।
দূষণের এই কালো বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? পরিবহন সেক্টরের বড় বড় নেতাদের দেশ-জাতির প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যে এটা পরে কিনা??
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: