অফিসে প্রচুর ব্যস্ততায় সময় কাটে। চেয়ার থেকে ওঠার সময় পাওয়া যায় না। ব্যস্ততা চেয়ারে বসেই সামলাতে হয়। একটানা কাজ করলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। প্রতিদিন আট-নয় ঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকলে শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালরি বার্ন করতে পারে না। ওজন কমাতে অনেকে আবার জিমে যাওয়ার, ডায়েট করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ঘুরেফিরে সেই ব্যস্ততা আর কাজের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছুই হয় না।
অফিসে থেকেও শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফেলা যায়। এজন্য আপনাকে আলাদা করে সময় বের করতে হবে না। কাজ করতে করতেই সহজে কয়েকটি উপায়ে আপনি ওজন কমাতে পারবেন। চলুন জেনে নেই অফিসে বসেই ওজন কমানোর উপায়:
কাজের মধ্যে বিরতি নিন। এক জায়গায় বসে একটানা কাজ করে যাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। মাঝে মাঝে এক দু’বার নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। স্ট্রেচিং করতে পারেন। দু’-এক পা হেঁটে আসতে পারেন। এতে শরীরের রক্ত চলাচলও ভাল হবে। এতে কাজেও একাগ্রতা বাড়বে।
কাজ করতে করতে অনেকেই পানি খেতে ভুলে যান। পানির পরিমাণ কমে গেলে ওজন বাড়তে থাকে। বেশি করে পানি পান করুন। দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে শুধু চর্বি বাড়ে তা নয় হজমেরও সমস্যা হয়। এতে করে আপনার হজমের সমস্যাও যেমন দূর হবে তেমনি ক্যালোরি বার্ন সাহায্য করবে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি বেশি করে খান। এতে ক্যালোরি বার্ন করার পরিমাণ বাড়বে। অ্যাভোকাডো, নারকেলের পানি এসবে পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে।
সি-সেকশনে ব্যথা উপশমে সি-সেকশনে ব্যথা উপশমে
নাস্তায় সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ ভাবে যে সব খাবারে সুগার বেশি সেসব খাবারও এড়িয়ে চলুন আপনার তালিকা থেকে। চকোলেট জাতীয় খাবার বা আইসক্রিম খাবেন না।
লিফ্ট ব্যবহার করে ওঠানামা করলে সময় বাঁচে। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিঁড়ি দিয়েও চলাফেরা করতে পারলে ভালো। সিঁড়ি ভাঙা হলো শরীরচর্চার অত্যন্ত কার্যকরী একটি ধাপ। ওজন নিয়ে সচেতন হলে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
এছাড়াও, কাজের মধ্যে বন্ধু বা বাড়ির মানুষের ফোন আসতেই পারে। কাজের ফাঁকে কাছের মানুষের কথা বললে মনটাও বেশ ভাল লাগে। তবে শরীরের যত্ন নিতে চেয়ারে বসেই ফোনে কথা না বলে, হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে পারেন। তা হলে একসঙ্গে মন এবং শরীরেও যত্ন নেওয়া হয়ে যায়।
পা মেঝে থেকে সামান্য ওপরে তুলে রাখুন। এখন দুই পায়ের পাতাকে ওপর দিকে করে নিজের শরীরের দিকে টেনে ধরুন অন্তত ১০ সেকেন্ড। এখন ছেড়ে দিয়ে ঠিক বিপরীত দিকে অর্থাৎ শরীরের বাইরের দিকে ঠেলে দিন পায়ের পাতাকে। এই ভাবে আরো দশ সেকেন্ড রাখুন। এই ব্যায়ামে আপনার ক্যালোরিও বার্ন হবে আবার পায়ের ব্যথাও কম হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: