দিনকে দিন বাড়ছে কাজের চাপ। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যক্তিগতজীবনে জটিলতার শেষ নেই। নানা টানাপোড়েনে দিন কাটাতে হয়। এসব কারণে উদ্বিগ্ন থাকা স্বাভাবিক। এর ছাপ পড়ে ঘুমে। এছাড়াও দেহের বাড়তি মেদ, ত্বকে বয়সের ছাপ, চুল পড়া— রাতের ঘুম কাড়ার জন্য এগুলোও দায়ী।
কারো কারো ক্ষেত্রে উদ্বেগ এতটাই মাত্রাহীন হয় যে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধও খেতে হয়। রাতের পর রাত ঘুম না হলে দেখা দেয় অন্যান্য শারীরিক সমস্যা। কিছু অভ্যাস রয়েছে যা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে ঘুমাতে সাহায্য করে।
চলুন জানা যাক বিস্তারিত-
উত্তেজনা প্রশমন করুন : উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন এমন কোনো ছবি, সিনেমা বা সিরিজ দেখা যাবে না। অনেকে সারা দিন পর বাড়ি ফিরে পরিবারের ভালো-মন্দ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। খেয়াল রাখতে হবে তা যেন কেবল আলোচনার পর্যায়েই থাকে। এমন আলোচনা করা যাবে না যাতে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
মেডিটেশন উপকারি : রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মিনিট দশেক ধ্যান করার অভ্যাস করুন। হালকা কোনো যন্ত্র বা মেডিটেশন মিউজিক শুনতে শুনতেও ধ্যান করতে পারেন। নিজের মনকে শান্ত করার এই প্রক্রিয়াও এক দিনে রপ্ত করা সম্ভব নয়।
ঘুমানের আগে লিখুন : লেখালিখি করলে মন ভালো থাকে। অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে ডায়েরিতে সারাদিনের যাবতীয় কাজ লিপিবদ্ধ করতে ভালোবাসেন। মনোবিদরা বলছেন, নিজের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, ভয়, উদ্বেগ ইত্যাদির কারণ লিখতে পারলে মন হালকা লাগে। ফলে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায়।
ডিজিটাল যন্ত্রের কম ব্যবহার : অতিরিক্ত ডিজিটাল যন্ত্রের ব্যবহার মানুষের জীবন আরও যান্ত্রিক করে দিচ্ছে। তাই কাজ থেকে ফিরে ফোন, ল্যাপটপ কম ব্যবহার করুন। সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রলিং এবং ডিজিটাল যন্ত্র থেকে প্রতিফলিত নীলচে আলো মেলানিন হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। যা ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত করে।
অতিরিক্ত ঘুমও ভালো নয় : রাতে জেগে থাকলেই মনে নানা ভালো-মন্দ চিন্তা আসে। সেখান থেকেই বাড়তে পারে উদ্বেগ। রাতে ঘুম না আসার অন্যতম কারণ বেশি ঘুমানো। তাই যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ছাড়ুন। উপকার মিলবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: