ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ এখন পুরো বিশ্বেই অতি পরিচিত একটি সবজি। এটি বিভিন্ন আকার ও বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে এটি খুব একটা প্রচলিত নয়। বিশেষ করে গ্রামে এর ব্যবহার তুলনামূলক খুবই কম করা হয়। কিন্তু এখন প্রতিনিয়তই বাড়ছে পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ এ সবজিটির চাষ ও ব্যবহার। শুধু তাই নয় এটি বিদেশে রপ্তানীর সম্ভাবনাও প্রচুর। কারণ সারা বিশ্বে টমেটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে ক্যাপসিকাম।
চলুন তাহলে জেনেই নেই এর উপকারীতা সর্ম্পকে-
১. চামড়া পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী, এটি চামড়ার র্যাশ হওয়া ও ব্রণ প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে।
২. এতে থাকা ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এভাবে এটি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। এটি লাইকোপিন প্রোস্টেট ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার ও ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে।
৩. ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে উচ্চ চর্বি থেকে যে ওজন বৃদ্ধি পায়, তা হ্রাস করে। সি সিকনেস (সমুদ্রে যাওয়ার কারণে তৈরি অসুস্থতা), ম্যালেরিয়া, জ্বর ইত্যাদি রোধে ক্যাপসিকাম বেশ কার্যকর।
৪. ক্যাপসিকামে অ্যালকালোয়েড, ফ্লেবোনয়েড, ক্যানিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। অ্যালকালোয়েড অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ক্যানিন আন্ত্রিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: