‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।’
কবিতার অংশের সঙ্গে মিলিয়ে বলতে হয়, সকাল থেকেই ভালো লাগার প্রতিজ্ঞা করা উচিত। কিন্তু চাইলেই তো সারা দিন ভালো থাকা যায় না। বাড়ি, সংসারের কাজের চাপ, নয়তো অফিসের হাজারটা চিন্তা৷ সব মিলিয়ে দিনের শেষে যোগ-বিয়োগের হিসাবে ফুরফুরে থাকার অংশটা খুবই সামান্য। তবে আপনি চাইলে নিজেকে ফুরফুরে রাখতে পারেন।
চলুন জেনে নেই মন ভালো করার কয়েকটি উপায়-
১. মন ভালো রাখার সবচেয়ে কার্যকারী `ওষুধ` হিসেবে পরিচিত হাসি। শত মন খারাপেও একচিলতে হাসি সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে। গবেষকরা বলছেন, শুধু মন নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে `প্রাণ খুলে হাসি`৷ এছাড়াও এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হোন, পাশাপাশি কিছু বন্ধুকে দাওয়াত করুন। এরপর সবাই মিলে মজাদার কোনো খেলা খেলুন। ভালো বন্ধুদের সঙ্গ আপনার সময়গুলোকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ নিয়ে কয়েক মিনিট রোদে বা জানলার ধারে গিয়ে দাঁড়াতে পারেন। এতে আপনার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন `ডি` পাবে। সূর্যালোকে এমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, যা মানসিকভাবে সুস্থ রাখে।
৪. হঠাৎ কোনো কারণে মন খারাপ হলে গান শুনুন। গান মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার মিউজিকের তালে চাইলে একটু নাচতেও পারেন। পছন্দের কোনো গান শুনলে মুহূর্তেই আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। মনে পড়তে পারে সুখের কোনো স্মৃতি। গবেষণায় দেখা গেছে, গান মন ভাল রাখার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
৫. অ্যালবামে রাখা পুরোনো ছবিগুলো নেড়েচেড়ে দেখুন। এটি খুব তাড়াতাড়ি আপনার মন ভালো করে দেবে। পুরোনো ছবির পেছনের গল্প যখন আপনার মনে পড়বে তখন পালিয়ে যেতে পারে সব দুঃখ।
৬. এছাড়াও পছন্দের কোনো ছবি ফেসবুকে পোস্ট অথবা কম্পিউটারের স্ক্রিনসেভারে রাখতে পারেন। এতে মনে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে। ভালো মন নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
৭. লিখতে পারেন ডায়েরিতে মজার কোনো স্মৃতি লিখতে পারেন। যদি নেইলপলিশ পছন্দ করেন নখটা একটু রাঙিয়েও নিতে পারেন। রান্নার যদি শখ থাকে তা হলে করে ফেলুন মজার কোনো রেসিপি।
৮. বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন তবে ম্যাসেজ করবেন না, বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। তাঁকে বলুন আপনার কষ্টের কথা। পরামর্শ চাইতে পারেন তাঁর কাছ থেকে।
৯.গান গাইতে পারেন দ্রুত মন ভালো করতে গেয়ে উঠতে পারেন পছন্দের কোনো গান। গ্যারান্টি দিচ্ছি, মন ভালো হয়ে যাবে।
১০.হয়তো হাসার মতো পরিস্থিতি নেই, তবু চেষ্টা করুন হাসার। হাসি কখনো কখনো চাপ কমাতে সাহায্য করে, মেজাজ ভালো রাখে, বিষণ্ণতাকেও দূরে রাখে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: