মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন

সময় ট্রিবিউন | ৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০৭

ডা. মুরাদ হাসান-ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার উদ্দেশে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রধান মুখপাত্র জুলিয়াস সিজার তালুকদার মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, ডা. মুরাদ তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্রহরণের অপপ্রয়াস করে। দেশের প্রচলিত আইনে তার শাস্তি নিশ্চিতের উদ্দেশে এ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে, এ বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদারকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র সারসংক্ষেপ আকারে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী কাছ থেকে পদত্যাগপত্রটি ইস্যু হয়ে আজ রাতেই আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে স্বাক্ষরের জন্য যাওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর দিলে আগামীকাল বুধবার (৮ ডিসেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

এর আগে বিকেল ৩টায় প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তার পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে জমা দেন।

গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় ছিলেন এ প্রতিমন্ত্রী। বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুরাদ হাসান।

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে।

এরই মধ্যে রোববার মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায় এটি।

মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: