গায়েব হওয়া চিনির বস্তা মিলল শ্রমিক লীগ নেতার গুদামে!

সময় ট্রিবিউন | ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৩:৫৭

উদ্ধার হওয়া ১৭৯ বস্তা চিনি-ছবি সংগৃহীত

ট্রাকযোগে ৩২০ বস্তা চিনি রহস্যজনকভাবে গায়েব হওয়ার পর বুধবার বিকেলে রংপুরের মিঠাপুকুরে শ্রমিক লীগ নেতার গুদামঘর থেকে ১৭৯ বস্তা চিনি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চিনি বহনকারী ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন শ্রমিক লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম।

পুলিশ ও চিনির মালিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ নভেম্বর) নরসিংদী থেকে ৩২০ বস্তা চিনি চন্দ্রপুরী ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ট্রাকযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের জাকারিয়া ট্রেডার্সে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে চিনি গন্তব্যে না পৌঁছালে ট্রাকচালক নাজমুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন জাকারিয়া ট্রেডার্সের মালিক হোসাইন জাকারিয়া। তখন চালক তাকে জানান, টাঙ্গাইলে ট্রাক বিকল হয়ে পড়েছে, মেরামত করে রওনা দেবেন। এজন্য তিনি জাকারিয়ার নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা নেন। টাকা দেওয়ার পরেও পাঠানো চিনি না পৌঁছায় আবারো যোগাযোগ করা হলে চালকের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ট্রাকচালক নাজমুল হক সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে জানায়, তার ট্রাক আটক করে ৩২০ বস্তা চিনি ছিনতাই করা হয়েছে। চালকের কথায় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে চালক চিনিগুলো রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সদর বাজারে একটি গুদামে রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার রাতেই মিঠাপুকুর বাজারের শ্রমিক লীগ নেতা মমিনুল ইসলামের গুদামে চিনিগুলো আছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

পরে বুধবার বিকেলে ওই গুদামঘর থেকে ১৭৯ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। তবে বাকি চিনির বস্তাগুলো এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় চিনির মালিক হোসাইন জাকারিয়া মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, চিনি উদ্ধারের ঘটনায় চিনির মালিক হোসাইন জাকারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বাকি চিনি উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: