মাদরাসা ছাত্রীকে নির্যাতন, কারাগারে গেলেন ৩ শিক্ষক

সময় ট্রিবিউন | ২ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৪৪

ছবি সংগৃহীত

নাটোরে রান্নার করা গরম ভাত ও ভাতের মাড়ের উপর ফেলে ছাত্রীর শরীর ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় মাদরাসার ৩ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উলুপুর গ্রামের তালেমুন নেছা হাফিজিয়া মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন, তার ছেলে মাদরাসার বর্তমান প্রধান মোহতামিম মাওলানা সোহরাব হোসেন এবং তার স্ত্রী সালমা বেগম।

নাটোর সদর থানার ওসি মুনসুর রহমান জানান, বুধবার সদরের চরলক্ষীকোল গ্রামের ইমরান আলী নাটোর থানায় লিখিত অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত সোহবার হোসেন, তার স্ত্রী সালমা বেগম ও তার বাবা মো. বাবুল তাদের বাড়িতেই দীর্ঘদিন থেকে একটি মাদরাসা পরিচালনা করেন। তিন বছর আগে বাদী তার মেয়ে ইয়াসমিন খাতুনকে (১১) ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। মাদরাসায় নিয়মিত বাচ্চা মেয়েদের দিয়ে ভাত রান্নাসহ শিক্ষক তার পরিবারের সব কাজ করান। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার আগে তার মেয়ে ভাত রান্না করে পাতিল নিয়ে ঘরে ঢুকার সময় পড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা সোহবার হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম তার মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে গরম ভাত ও ভাতের মাড়ের উপর ফেলে দেয়। ফলে ইয়াসমিনের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে ঝলসে যায়।

এ ঘটনার পর সোহবার হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম গুরুতর অসুস্থ ছাত্রীকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে আটকে রাখেন। চারদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর লোকমুখে খবর পেয়ে তিনি লোকজন নিয়ে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাদরাসায় সব বাচ্চাদের দিয়েই এভাবে কাজ করানো হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাটোর থানায় নিয়ে আনা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: