বিয়ে করার অপরাধে মেয়ের জামাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, শাশুড়ী গ্রেপ্তার

সময় ট্রিবিউন | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:১৪

ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় তরুণীর পরিবারের মতামত না নিয়ে বিয়ে করার অপরাধে এক তরুণকে গাছে বেঁধে নির্যাতনে ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জের ধরে ওই তরুণীর মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল জানান, শুক্রবার দুপুরে তরুণীর বাড়ি উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তরুণীর মা সেলিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।

তিনি জানান, নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণ নাসিরুল ইসলামের (২০) বাবা বাদী হয়ে তরুণীর মা সেলিনা আক্তার, বাবা করিমুল হকসহ ৪ জনকে আসামি করে রানীশংকৈল থানায় আজ একটি মামলা করেছে।

এলাকাবাসী ও নির্যাতিত তরুণের পরিবার জানায়, একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে নাসিরুল ইসলাম (২০) ও করিমুল ইসলামের মেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের একটি আদালতে গিয়ে বিয়ে করে এবং নারায়ণগঞ্জে বসবাসের জন্য চলে যায়।

এদিকে ওই তরুণীর স্বজনরা তাকে পেতে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। পরে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নাসির তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে আসে।

বাড়িতে ফিরলে ওই তরুণীর মা সেলিনা আক্তার বাবা করিমুল হকসহ কয়েকজন নাসিরুলকে নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে, নাসিরকে পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে ঘটনাটির ভিডিওচিত্র ধারণ করা হলে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নাসিরুলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে লাঠি পেটাচ্ছেন এক নারী। পেটানোর ঘটনায় জড়িত ওই তরুণীর মা শিরিনা বেগম বলে শনাক্ত করে এলাকাবাসী।

পরে, খবর পেয়ে পুলিশ নাসিরুলকে উদ্ধার করে রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: