ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সেলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলাটি করেন। সেলিম মিয়া বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের গেড়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। ট্রলার দুর্ঘটনায় তার চারজন স্বজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এজাহারভুক্ত সাত আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকি ২ জনকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
আসামিরা হলেন সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ষোলাবাড়ি এলাকার জমির মিয়া (৩৩), মো. রাসেল (২২), খোকন মিয়া (২২), মো. সোলায়মান (৬৪) ও বিজয়নগর পত্তন ইউনিয়নের কালারটেক গ্রামের মিস্টু মিয়া (৬৭)। বাকি দুজনের নাম জানায়নি পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টায় বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। শনিবার শেষ খবর পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগম (৪০), দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮), চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার শিশুকন্যা তাকুয়া (৮), নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭) ও ভাটপাড়া গ্রামের ঝারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮)।
আরও রয়েছেন, বিজয়নগরের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭) ও তার মেয়ে মুন্নি (১০), আব্দুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০) ও পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৫)।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: