যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন নায়লা নাঈম

সময় ট্রিবিউন | ৫ আগষ্ট ২০২১, ২২:৪৭

কথিত মডেল নাইলা নাঈম-ফাইল ছবি

ঢাকাই সিনেমার বহুল আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগে র‍্যাবের হাতে আটকের পর বেরিয়ে আসছে ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িতদের নাম।

আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, কথিত এই মডেল নামে পেশাদারিত্বের পেছনে মূল পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফি।

র‌্যাব বলছে, পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত। এদের মধ্যে রয়েছেন কথিত মডেল নায়লা নাঈম, শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। পর্নোচক্রে আরও নাম আছে জনৈক মৃদুলা ও অহনার। এছাড়া ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা আছেন র‌্যাবের তালিকায়।

র‍্যাবের সূত্র জানায়, শিরিন শিলা মূলত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আরমানের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। পরে ক্যাসিনো সম্রাটের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। সম্রাট তাকে এতটাই পছন্দ করতেন যে, সিঙ্গাপুর থেকে লাখ টাকার গয়না এনে দিতেন হরহামেশা।

র‌্যাব জানায়, পর্নোচক্রে নাম আছে জনৈক মৃদুলা, অহনা ও নায়লা নামের কথিত মডেলের। এরা সবাই র‌্যাবের নজরদারিতে আছেন। গ্রেফতার হতে পারেন যে কোনো সময়।

পর্নোচক্রে যাদের নাম আছে তাদের মধ্যে অন্যতম নাইলা নাঈম। তিনি সিনেমা জগতের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলেও বিলাসহুল জীবনযাপন করছেন। তার অবৈধ আয়ের মূল উৎস পর্নোগ্রাফি। পরীমনি আটকের পর সব মহলেই এখন নাইলা নাঈমকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

র‍্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাইলা নাঈমের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের সব প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। র‍্যাবের একটি চৌকশ টিম নজরদারিতে রেখেছে স্বার্বক্ষনিক। তাই যখন তখন তাঁর বাসায় অভিযান চালাতে পারে র‍্যাব সদস্যরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, এসব কথিত মডেলদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। আমরা আরও যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: