পাচারের অভিযোগে সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল

সময় ট্রিবিউন | ২৯ জুলাই ২০২১, ০৭:০৪

ছবিঃ সংগৃহীত

মিথ্যা ঘোষণায় কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩৯ টি ট্রাকে আংগুর, টমেটো ও আনারের চালান পাচার করে সরকারে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে মোট এক কোটি ৩ লাখ টাকা। পাচারের অভিযোগে বুধবার (২৮ জুলাই) বিকালে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রয়েল ইন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, শনিবার (২৬ জুলাই) বন্ধের দিন ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক আঙুর, টমেটো ও আনার আমদানি করা হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এই চালানগুলো খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টারপ্রাইজ। রয়েল এন্টারপ্রাইজ কয়েকজন কাস্টমস কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে ৩৯ ট্রাক আঙুর, টমেটো ও আনারের ২টি চালান (কাস্টমস নম্বর- বি/ই সি-৪৮৬৮৩ ও সি-৪৮৬৭০ সহ ৮টি বি/ই) বিপরীতে কোন দলিল না দেখিয়েই বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান ও অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলামের যৌথ প্রচেষ্টায় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব আদায় করে। পরে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে।

এদিকে রয়েল এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, প্রতি শনিবার বন্ধের দিন কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচার করে থাকে তারা। রয়েল এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে একাধিক রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে কাস্টমস হাউসে।

রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, আমার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স রয়েল এন্টারপ্রাইজ বাতিল করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। তবে ৩৯ ট্রাকের রাজস্ব পরের দিন পরিশোধ করা হয়েছে। পচনশীল পণ্য বিধায় ঐদিন রাজস্ব পরিশোধ করা হয়নি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জালিয়াতি করে বন্দর থেকে ৩৯ ট্রাক পণ্য বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রয়েল এন্টাপ্রাইজের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: