ড্যান্স কনসার্ট এর আড়ালে টার্গেট করে ডাকাতি: অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬

মোশতাক আহমেদ শাওন | ২৭ আগষ্ট ২০২২, ০৫:৫১

সংগৃহীত

ড্যান্স কনসার্ট এর আড়ালে টার্গেট করে ডাকাতি করত ওরা। বিভিন্ন সময়ে বিয়ে, জন্মদিন বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ড্যান্স কনসার্ট নামে বিভিন্ন প্রবাসী বা ধনী ব্যক্তিদের বাড়ি টার্গেট করে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে।

পরবর্তীতে টার্গেট করা বাড়িগুলোতে পরিকল্পনা করে ডাকাতি পরিচালনা করে থাকে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পূর্ব ভবনাথপুর এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব-১১।

অভিযানে ডাকাত চক্রের সর্দারসহ ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি ছোরা, একটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, দুটি তালা ভাঙ্গার কাটার ও শাবল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ডাকাত সর্দার সাখাওয়াত হোসেন রনি (২৫), মো. সোহেল (৩২), মো. শহিদুল ইসলাম (২৬), আল আমিন (২৩), মো. ইসমাইল (৩৮) ও সুজয় দে (৩০)। গ্রেপ্তারকৃত সাখাওয়াত হোসেন রনি কাঁচপুর এলাকায় “বন্ধু ড্যান্স একাডেমী” নামে ডান্স গ্রুপের গ্র্যান্ড মাষ্টার।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা শুক্রবার দুুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা আরো জানান, ডাকাত চক্রটি গত ৬ এপ্রিল এবং ২৪ এপ্রিল আড়াইহাজার থানা এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল। আটককৃত ডাকাত সর্দার সাখাওয়াত হোসেন রনির বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় তিনটি এবং সোনারগাঁও থানায় একটি অস্ত্রসহ ডাকাতি, মো. সোহেলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় তিনটি এবং সোনারগাঁও থানায় একটি অস্ত্রসহ ডাকাতি ও একটি মাদক মামলা, মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি অস্ত্রসহ ডাকাতি ও দুটি ধর্ষণ এবং বিভিন্ন থানায় চারটি অস্ত্রসহ ডাকাতি মামলা, সুজয় দের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একটি চুরি এবং মকছেদপুর থানায় একটি ধর্ষণসহ হত্যা মামলা রয়েছে।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলার বাসা-বাড়িতে অতর্কিতভাবে হাজির হয়ে ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে সাধারণ লোকজনদের জিম্মি করে ডাকাতি করে সিএনজি/মোটরসাইকেলযোগে দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতিকারী এই ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করতে গিয়ে জনসাধারণকে মারধর, ছুরিকাঘাত ও গাড়ি ভাংচুরসহ গুরুতর জখম করে থাকে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: