চবি ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৪

সময় ট্রিবিউন | ২৪ জুলাই ২০২২, ০৪:০৭

সংগৃহীত

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।

র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। 

ভুক্তভোগী ভিকটিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। গত ১৭/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ০৯.৩০ ঘটিকার সময় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে তার বন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা হয়ে প্রীতিলতা হল সংলগ্ন রাস্তায় যাওয়ার পথে ১৭/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ১০.১৫ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ০৫ জন লোক বেআইনী জনতাবদ্ধে তাদের পথরোধ করে জেরা করতে থাকে এবং অহেতুক মারধর করতে থাকে। তখন ভুক্তভোগী বাধা প্রদান করলে তারা এলোপাতাড়ী কিল,ঘুষি,লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। মারধরের একপর্যায়ে আসামীরা ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুকে জোর পূর্বক বেগম ফজিলাতুন নেছা হলের পিছনে ইটের রাস্তা দিয়ে ঝোপ ঝাড়ের দিকে মারধর করতে করতে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞেস করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সেশনে এবং কোন বিভাগে পড়াশুনা করেন। মরধরের একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাদের যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে শ্লীলতাহানী করে ও অশ্লিল ভিডিও ধারন করে। আসামীদের একজন হুমকি প্রদান করে বলে যে, তার সাহিত শারিরীক সম্পর্ক না করলে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। অজ্ঞাতনামা আসামীরা অবৈধভাবে একঘন্টা আটক করে রেখে ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুর ০২টি মোবাইল সেট ও নগদ ১৩৭০০/- টাকা আত্মসাৎ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে গত ২০/০৭/২০২২ খ্রি: চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানার মামলা নং- ১৭ তারিখ-২০/০৭/২০২২ খ্রি: ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধণী ২০০৩) এর ১০ তৎসহ ১৪৩/৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করে।মামলাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হওয়ার কারনে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দ নজরদারী এবং ব্যাপক তৎপরতা অব্যহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে ২২/০৪/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল হাটহাজারী ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামী ১। মোঃ আজিম(২৩) পিতা,মোঃ আমির হোসেন, সাং-চর ভারত সেন,থানা-হাতিয়া,জেলা-নোয়াখালী,এপি-ফতেহপুর, ০৪ নং ওয়ার্ড,ফতেপুর ইউপি,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র), ২। মোঃ নুর হোসেন শাওন(২২),পিতা-জাবেদ হোসেন, সাং-ফতেহপুর,ওয়ার্ড নং-০৩,ফতেপুর ইউপি,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম,(হাটহাজারী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র),৩। মোঃ নুরুল আবছার,বাবু (২২),পিতা-বেলায়েত হোসেন, সাং-বেড়াবাড়ি,থানা-পশুরাম,জেলা-ফেনী,এপি-সাং-ফতেহপুর, ০৪নং ওয়ার্ড,ফতেপুর ইউপি, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম, (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র) এবং ৪। মোঃ মাসুদ রানা মাসুদ (২২),পিতা-আঃ মান্নান, সাং- আশিয়ার,থান+জেলা-ঝালকাঠি, (হাটহাজারী কলেজের অর্নাস এর ২য় বর্ষের ছাত্র) দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীরা উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে ও মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে অকপটে স্বীকার করে।  

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: