শেরপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে পাট গাছ কেটে ফেলা ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ জুলাই) শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের বেতমারী পশ্চিম পাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জমির মালিকের ভাই মো. এমানি মিয়া নিজে বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় ২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ১৪ নং বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের বেতমারী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মহেজ মন্ডলের ছেলে মো.মকবুল মুন্সি'র সাথে দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের মৃত জুনাব আলির ছেলে মো.এমানী মিয়া ও তার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তারাই ধারাবিকতাই শনিবার ভোরে মো.মকবুল মুন্সি'র নির্দেশনায় তার ছেলে মো.আওয়াল তার সহযোগীদের নিয়ে প্রায় ২২ শতাংশ জমির পাট গাছ কর্তন করে আনুমানিক ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, কথিত মো. মকবুল মুন্সি একজন খারাপ প্রকৃতির লোক সে প্রতিনিয়ত আমাদের নির্যাতন করে আসছে। আমরা গরিব মানুষ ঢাকা শহরে গার্মেন্টস ও বাসা বাড়িতে কাজ করে কোনমতে সংসার চালিয়ে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই জমি টুকু কিনেছি কিন্তু জমি কিনার পর থেকেই মকবুল মুন্সি ও তার ছেলেরা আমাদের নানা ভাবে ক্ষতি সাধন করে আসছে। তার জন্য আমরা সেই ক্ষেত থেকে চাষাবাদ করে নিয়ে আসতে পারি না, তারা নষ্ট করে দেই। কিছু বলতে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেই যার জন্য আমরা এখনও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.ইমান আলী সাংবাদিকদের বলেন, কথিত মো.মকবুল মুন্সি অত্যন্ত খারাপ লোক সে তার ছেলেদের নিয়ে প্রতিনিয়ত সমাজের মানুষদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও হয়রানী করে আসছে। এই ঘটনার বাদীরা জমি কিনার পর থেকেই তাদের এই মকবুল মুন্সি বিভিন্ন হুমকি দামকি দিয়ে আসছে এবং ক্ষেত থেকে কোন ফসল নিতে দিবে না এমনটাই বলে বেড়াই।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানার পুলিশ-পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. বন্দে আলী বলেন, আমরা অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: